বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Heart Health: হার্ট ভালো রাখতে চান? থাকুন নিয়মিত চেকআপের মধ্যে

Heart Health: হার্ট ভালো রাখতে চান? থাকুন নিয়মিত চেকআপের মধ্যে

হার্ট ভালো রাখতে নিয়মিত চেকআপ করান

Heart health: নিয়মিত চেকআপ, টেস্ট করালে জানতে পারবেন আপনার হার্ট কেমন আছে, ঠিক করে কাজ করছে কিনা। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত কী করবেন দেখুন।

সুস্থ থাকতে চান? তাহলে সবার আগে ভালো রাখুন আপনার হার্টকে, কারণ হার্ট হচ্ছে আমাদের দেহের অন্যতম জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিন্তু বর্তমানের ব্যস্ত, চাপের জর্জরিত জীবনের কারণে হার্টের উপর ভীষণই চাপ পড়ে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে হার্টের সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলোর পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়ে, নিয়মিত চেকআপ এবং টেস্ট করিয়ে দেখে নেবেন আপনার হার্টের স্বাস্থ্য ভালো আছে কিনা। এই বিষয়গুলো হল কোলেস্টরল, বয়স, উচ্চরক্তচাপ, পারিবারিক ইতিহাস, ডায়াবিটিস, ইত্যাদি।

দেখে নিন কোন কোন টেস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের বিষয়ে।

১. লিপিড প্রোফাইল টেস্ট: এই টেস্টের মাধ্যমে দেহে কোলেস্টরলের মাত্রা মাপা হয়। কোলেস্টরল হার্টে রক্ত চলাচলে বাধা দেয়, যার ফলে বাড়তে পারে উচ্চরক্তচাপ, হার্টের অসুখ এমনকি হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা।

২. কার্ডিয়াক সমস্যা: পরিবারের কারও হার্টের অসুখ থেকে থাকলে বা কারও অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবিটিস, ইত্যাদি থেকে থাকলে আপনার নিয়মিত ব্লাড, ইউরিন, সুগার লেভেল চেক করা উচিত নিজের হার্ট ভালো রাখতে গেলে।

৩. হার্টের স্বাস্থ্য: নিয়মিত হার্ট এবং হার্ট সম্পর্কিত জিনিসের টেস্ট করালে এবং কোনও সমস্যা ধরা পড়লে তার সঠিক চিকিৎসা হবে। তাই হার্ট ভাল রাখতে চেকআপ প্রয়োজন।

৪. ডায়াবিটিস এর পরীক্ষা: যাঁদের ডায়াবিটিস আছে, মূলত টাইপ ২ ডায়াবিটিস তাঁদের সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজন কারণ সঠিক চিকিৎসা না হলে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবং অতিরিক্ত সুগার হার্টের অসুখ ডেকে আনতে পারে।

৫. ব্লাড টেস্ট: বিভিন্ন ধরনের ব্লাড টেস্ট করা উচিত যার মাধ্যমে রক্তের বিভিন্ন ধরনের উপাদান সঠিক পরিমাণে আছে কিনা সেটা দেখা যাবে। কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা গেলে তার দ্রুত চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।

৬. ইসিজি: হার্টের ইলেকট্রিক ইমপালস ইসিজি পরীক্ষার সাহায্যে দেখা সম্ভব। হার্ট ঠিক করে পাম্প করছে কিনা সেটাও জানা সম্ভব হবে এই টেস্টের মাধ্যমে।

৭. এক্সারসাইজ স্ট্রেস টেস্ট: ইসিজি টেস্টকে এক্সারসাইজ স্ট্রেস টেস্টও বলা হয়ে থাকে কারণ এটা ট্রেডমিলে হাঁটার সময় কারও হার্ট ঠিকঠাক পাম্প করছে কিনা সেটার মাপার জন্যও ব্যবহার করা হয়।

৮. ইকোকার্ডিওগ্রাফি: আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহার করে এই টেস্ট করা হয়ে থাকে। এটার সাহায্যে হার্টের ছবি পাওয়া সম্ভব। এই টেস্টের সাহায্যে এটা দেখা সম্ভব হয় হার্টের প্রতিটা চেম্বার, ভালভ ঠিকঠাক করছে কিনা।

৯. করোনারি অ্যাঞ্জিওগ্রাম: হার্ট অ্যাটাকের পর করোনারি অ্যাঞ্জিওগ্রাম করা হয় থাকে। রোগীর কুঁচকি, বাহু বা কব্জির যে কোনও একটি ধমনীতে একটি ক্যাথেটার ঢোকানো হয় একটি ছোট টিউব ব্যবহার করে। ধমনীর সাহায্যে ক্যাথেটারটি হার্টে পৌঁছে যায়। এরপর ধমনীতে একটা রঙিন ইনজেকশন দিয়ে এক্সরে করা হয়ে থাকে। সেখানে ধরা পড়ে আপনার হার্ট হার্ট ঠিক করে কাজ করছে কিনা।

১০. এমআরআই: এই টেস্টের সাহায্যে হার্টের একটি ডিজিটাল ছবি পাওয়া যায় যা শক্তিশালী রেডিওওয়েভ এবং ম্যাগনেট ব্যবহার করে করা হয়ে থাকে। আপনার হার্টের স্টিল ছবিও তুলতে পারে আবার চলন্ত অবস্থাতেও তুলতে পারে।

ফলে এই সমস্ত টেস্টের সাহায্যে আপনার হার্টের অবস্থার সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন এবং কোনও সমস্যা থাকলে তা দ্রুত চিকিৎসা করে ঠিক করা সম্ভব। তাই ভালো এবং সুস্থ থাকতে গেলে নিয়মিত হার্টের চেকআপ করান।

বন্ধ করুন