রণবীর ভট্টাচার্য
পর পর বিশ্বকর্মা পুজো আর গণেশ পুজো। পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে বলাই চলে। মহালয়া আর খুব দেরি নেই। বৃষ্টির বেশ কম হতেই নামজাদা সব পুজোর কাজ বেড়েছে। এরই মধ্যে শহরের সর্বত্র কেনাকাটার ভিড় চোখে পড়ছে অনমনীয় ট্রাফিক জ্যামের সাথে। গড়িয়াহাট হোক বা হাতিবাগান বা ভিড়ে ঠাসা এসপ্ল্যানাড, শহরের আনাচে কানাচে অনেক মল - পুজোর জামা কেনার হিড়িক পড়েছে ইতিমধ্যেই। তবে পুজো মানে কি স্রেফ নতুন জামা! পেট পুজো তো হওয়া চাইই। তবে মনপসন্দ খাবারের জন্য কারোর তর সয় না। আর সেটা বড় ভুল নয়। দমদম বিমানবন্দর যাওয়ার পথে তাজ হোটেল নিউটাউন নিয়ে এসেছে থাই ফুডের রকমারি সম্ভার। চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের কচকচানি যাই থাক, চিনা খাবারের প্রতি আত্মিক টান আছে অনেকেরই। তাই থাই ফুডের সম্ভার চিনা খাবার প্রেমীদের জন্য সুসংবাদ তো বটেই!
সুবোধ জাফরিন গহত্রাজ নামটা ভারতে থাই ফুডের মানচিত্রে খুব অচেনা নয়, বরং সম্ভ্রমের বলা যেতেই পারে। তবে বাঙালি পরিবারের রান্নার হাত নিয়ে যেই প্রবাদ, সেটা সুবোধের ক্ষেত্রে বলাই চলে। শেফ সুবোধ জাফরিন গহত্রাজের থাই খাবারের মেনু এখন ঝড় তুলেছে এই পাঁচতারা হোটেলের। সাবেকি নাম 'থাই অ্যাট কলকাতা' আর এই বিশেষ থাই ফুডের রকমারি স্বাদের ঝংকার চলবে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, যা শুরু হয়েছে গত ১৮ সেপ্টেম্বর।
থাই ফুড নিয়ে যদি পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে থাকে, তাহলে নতুন করে বলার কিছু নেই প্যান গ্রিল ওয়াইট প্রন, পিনাট সস সহকারে গ্রিলড চিকেন সুপ্রিম, টামারিন্ন্ড সস সহ টেম্পুরা ফ্রায়েড প্রন, থাই কোকোনাট স্যুপ কিংবা থাই গ্রিন কারি নিয়ে। তবে একথা মনে রাখা দরকার যে কলকাতা বা ভারতের অনেক জায়গাতেই থাই ফুড বানানোর সময় অনেক বেশি ভারতীয় রান্নার দেখা যায়। তার ফলে খোদ থাইল্যান্ডের খাবারের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হন অনেকেই। এক্ষেত্রে অবশ্য সেই চিন্তা নেই। তাই যারা পুজোর আগে থাই ফুডের সাথে মোলাকাত করতে চান, তাহলে এর মধ্যেই তাজ নিউ টাউনের ওয়াইকিকিতে থাই ফুডের সমারোহে স্বাদ নিতে ভুলবেন না যেন!