বাঙালি বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, তাঁর কাছে ২৫ বৈশাখ দিনটার গুরুত্বই আলাদা! এদিনটা যে বিশ্ববরেণ্য কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। সোমবার ২৫ বৈশাখ। তাই সেইদিনে বাড়ির হেঁশেলে রেঁধে ফেলুন ঠাকুরবাড়ির এই নিরামিষ রান্নাটা।
কীভাবে বানাবেন ছানা পটলের রসা
উপকরণ
পটল (৪০০ গ্রাম), বাড়িতে কাটা ছানা (১৫০গ্রাম), ঘি (২ টেবিল চামচ), জিরে গুঁড়ো (১ টেবিল চামচ), ধনে গুঁড়ো (১/২ টেবিল চামচ), আদা বাটা (১/২ চা চামচ), নুন-চিনি (স্বাদমতো), গুঁড়ো হলুদ (১ চা চামচ), কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো (১ চা চামচ), ছোট ছোট করে কুচিয়ে রাখা টমেটো (১কাপ), শুকনো লঙ্কা-তেজপাতা (২টো করে), পরিমাণমতো গোটা গরম মশলা (২টি এলাচি,৩টি লবঙ্গ,১ টুকরো দারচিনি), গরম মশলা গুঁড়ো (১/২ চা চামচ), কাঁচা লঙ্কা চেরা (২টি), সরষের তেল (পরমাণমতো), ঘি (২ টেবিল চামচ)
পদ্ধতি
গোটা পটলের খোসা ছাড়িয়ে নিন। এরপর ধুয়ে নিয়ে সামান্য নোনতা জলে ভিজিয়ো রাখুন। তারপর ফের নুন-হলুদ মাখিয়ে সরষের তেলে ভেজে রেখে দিতে হবে।
এই ফাঁকে গুঁড়ো মশলা ১/২ কাপ জলে মিশিয়ে রাখুন। এতে মশলা ফুলে উঠবে। ও রান্নার সময় স্বাদও ভালো আসবে।
কড়াইতে সরষের তেল আর ঘি গরম করুন। তারপর তাতে শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা ও গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিন। ওই কড়াইয়ের মধ্যেই ১/২চামচ আদাবাটা দিয়ে কষাতে থাকুন। এবার ভিজিয়ে রাখা জিরে, হলুদ ও শুকনো লঙ্কার যে পেস্টটা তৈরি করেছেন সেটা ঢেলে দিতে হবে কড়াইতে। এর মধ্যে কুচনো টমেটোও দিয়ে দিন। তারপর ছানা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়ান। এবার তেল ছাড়তে শুরু করলে ১.৫কাপ ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ফুটতে দিন।
ঝোল ঘন হয়ে এলে ভাজা পটল দিন কড়াইতে। আঁচ কমিয়ে ৫-১০ মিনিট রাখুন ঠাকা দিয়ে।
পটল আর ছানা গা-মাখা হয়ে এলে গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। আর সঙ্গে দিন ১ চেবিল চামচ ঘি।
তৈরি আপনার ঠাকুরবাড়ি স্পেশ্যাল পটলের রসা।