অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের জমকালো অনুষ্ঠান গোটা বিশ্বকে মোহিত করেছে। চার মাস ধরে চলা প্রি-ওয়েডিং সেলিব্রেশনের পর এই জুটি ১২ জুলাই বিয়ে সেরেছেন। এবং সেই অনুষ্ঠানেও সকলের তাক লেগে গিয়েছে। সেখানে দেশের তাবড় ব্যক্তিত্বরা উপস্থি হয়েছিলেন। সেলিব্রিটি, রাজনীতিবিদ এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই উৎসবে যোগ দেন। তবে মজার কথা হল, এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে কলকাতার আবার একটা বিশেষ কানেকশনও রয়েছে। কী সেই কানেকশন? জেনে নেওয়া যাক?
(আরও পড়ুন: দেওরের বিয়েতে নিজের বিয়ের লেহেঙ্গাতেই সাজলেন বৌদি শ্লোকা, কুড়োলেন প্রশংসা)
আম্বানি পরিবারের এই বিয়ের আনুষ্ঠানে একটি দায়িত্ব সামলেছেন কলকাতার ড্রেপ শিল্পী ডলি জৈন। কী এই ড্রেপ শিল্প? শাড়ি থেকে লেহেঙ্গা বিশেষ বিশেষ কৌশলে পরানো, তার সঙ্গে আঁচল পরানোর পদ্ধতিতে শিল্পের ছোঁয়া থাকা— এগুলিই সব মিলিয়ে হল ড্রেপ শিল্প। আর সেই বিষয়েই নামজাদা শিল্পী হলেন ডলি। আম্বানি পরিবারের এই অনুষ্ঠানে রাধিকার অত্যাশ্চর্য পোশাকের স্টাইলের পিছনে ছিলেন এই সৃজনশীল মানুষটি। কলকাতার এই শিল্পীকে শাড়ি পরানোর জন্য ডেকে নেওয়া হয়েছিল মুম্বইয়ে।
(আরও পড়ুন: সোনা-রূপোর শাড়িতে আলিয়া, শিখ সাম্রাজ্যের আমলের গয়নায় দীপিকা… কে নজর কাড়লেন বেশি)
বিশেষ দিনের জন্য নববধূ স্টাইল, নববধূর হলদির ফ্যাশন, যা কি না বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, এই সবই ডিজাইন করেছেন ডিজাইনার অনামিকা খান্না। অনামিকা নববধূর জন্য বহু রঙের সূচিকর্মে সজ্জিত একটি কাস্টম হলদি হলুদ লেহেঙ্গা তৈরি করেছেন। তার সঙ্গে পরিপূরক ছিল ফুলের চাদরের দুপাট্টা, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর কনেকে এই সুন্দর সাজে সেগুলি পরিয়ে সাজিয়ে দিয়েছেন ডলি।
(আরও পড়ুন: অনন্ত রাধিকার বিয়েতে সারা-সুহানাদের দ্বিতীয় লুক, দেখুন সেই সব ছবি)
তবে এখানে কলকাতা কানেকশন শেষ নয়। বিয়েতে সারা বিশ্বের বিভিন্ন খাবারের সমাহার ছিল। ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় মিষ্টি থেকে শুরু করে সারা বিশ্বের খাবার এসেছিল এই অনুষ্ঠানে। ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় মিষ্টিগুলির মধ্যে কলকাতার কারিগর গোকুলের তৈরি কিছু মিষ্টি ছিল। আম্বানি পরিবারের অনুষ্ঠানের জন্য মিষ্টি পাঠানোর দুর্দান্ত অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে, এই সংস্থার মালিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা বিবাহের জন্য একটি বিশেষ মেনু তৈরি করেছি, যার মধ্যে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি যেমন রাবড়ি, গুলাব জাম, ক্লাসিক বাঙালি মিষ্টি যেমন মাখা গুরের সন্দেশ, রসোগোল্লা, পাশাপাশি সমসাময়িক ফিউশন মিষ্টি।’