বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > School Bans Bible: বাইবেল ‘পর্নোগ্রাফিক’, অভিযোগ এনে খ্রিস্টানদের স্কুলেই নিষিদ্ধ ধর্মগ্রন্থটি

School Bans Bible: বাইবেল ‘পর্নোগ্রাফিক’, অভিযোগ এনে খ্রিস্টানদের স্কুলেই নিষিদ্ধ ধর্মগ্রন্থটি

নিষিদ্ধ হল বাইবেল। ছবিটি প্রতীকী।  (Unsplash)

School Bans Bible Due to ‘Pornographic’ Content: বাইবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল, এটি মোটেই শিশুপাঠ্য নয়। তাই স্কুলে নিষিদ্ধ এই ধর্মগ্রন্থ।

বাইবেল মোটেই শিশুপাঠ্য নয়। কারণ এর বিষয়বস্তুর মধ্যে কিছু কিছু জায়গা এমন রয়েছে, যাকে রীতিমতো অশ্লীল এবং ‘পর্নোগ্রাফিক’ বলতে হবে। এমনই অভিযোগ তুলে এক স্কুল থেকে নিষিদ্ধ করা হল বাইবেল। আর মজার কথা সেই স্কুলের অধিকাংশ পড়ুয়াই খ্রিস্টধর্মাবলম্বী। 

সম্প্রতি আমেরিকার উটাহ প্রদেশের একটি স্কুলে এমনই ঘটনা ঘটেছে। বাইবেলের বিষয়বস্তু নিয়ে সেখানে অভিভাবক এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে হালে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তার ফলে প্রাথমিক এবং সেকেন্ডারি স্তর থেকে বাইবেল সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, এর মধ্যে এমন অনেক কিছু রয়েছে, যাকে ‘অশ্লীল এবং হিংসাত্মক’ বলে মনে করা যেতে পারে।

২০২২ সালে উটাহর রিপাবলিকান সরকার কর্তৃক পাস হওয়া একটি আইনে বলা হয়েছে, ‘পর্নোগ্রাফিক এবং অশ্লীল’ উপাদান থাকলে, সেই বই স্কুলে পড়ানো যাবে না। সেই আইন মোতাবেকই এক অভিভাবক অভিযোগ জানান, কিং জেমস বাইবেলে শিশুদের জন্য অনুপযুক্ত উপাদান রয়েছে। তার পরেই নড়ে চড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। আর নিষিদ্ধ হয় বাইবেল পড়ানো। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই এই ধরনের বইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমন বই, যেগুলিতে যৌনতা বিষয়ক কোনও উপাদান বা হিংসাত্মক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে, সেগুলি বাতিল করা হয়েছে শিশুপাঠ্য বইয়ের তালিকা থেকে। 

(আরও পড়ুন: রকেটের গায়ে খোদাই হবে কবিতা! ভিন গ্রহের জন্য কলম ধরলেন কে)

২০২২ সালের ডিসেম্বরে একটি অভিযোগ দায়ের করার পরে, সল্টলেক সিটির উত্তরের ডেভিস স্কুল ডিস্ট্রিক্ট দ্বারা বাইবেল সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কর্মকর্তারা জানান যে, তাদের দখলে থাকা বাইবেলের কয়েকটি কপি ইতিমধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁরা স্পষ্ট করে বলেছেন যে, বাইবেল কখনও পড়ুয়াদের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। 

অভিযোগ দায়েরকারী অভিভাবক যুক্তি দিয়েছিলেন যে, কিং জেমস বাইবেলে অল্পবয়সিদের জন্য উপযুক্ত মূল্যবোধের অভাব রয়েছে। ২০২২ সালের বই-নিষেধাজ্ঞা আইন দ্বারা নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে এটি ‘পর্নোগ্রাফিক’ বলে দাবি করেছিলেন তিনি।

যদিও উটাহ রাজ্যের একজন আইনপ্রণেতা প্রাথমিকভাবে বাইবেলকে নিষিদ্ধ করার দাবিটিকে একটি রসিকতা ভেবে উড়িয়ে দেন। তিনি পরে ছোট শিশুদের জন্য কেন এই বইটি সমস্যার, সে কথা স্বীকার করেছেন। আইনপ্রণেতা এর পরে জোর দিয়েছেন বাইবেল স্কুলে নয় বরং পারিবারিক পরিবেশে শেখানো এবং বোঝানো উচিত।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup 

 

বন্ধ করুন