বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Heart Failure Signs: হার্টের সমস্যা আগেই জানান দেয় শরীর, কোন ৩টি লক্ষণ দেখলেই দ্রুত চিকিৎসককে জানাবেন

Heart Failure Signs: হার্টের সমস্যা আগেই জানান দেয় শরীর, কোন ৩টি লক্ষণ দেখলেই দ্রুত চিকিৎসককে জানাবেন

হার্টের সমস্যা আগে থেকে টের পাবেন কী করে?

Heart Health: কম বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এই সমস্যা সামলানো সম্ভব কি? অনেকে বলেন, হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই জানান দেয় শরীর। কোন কোন লক্ষণ দেখলে গোড়া থেকেই সাবধান হবেন?

ভারতের অল্প বয়সিদের মধ্যে হার্টের সমস্যা বাড়ছে। এখন চল্লিশের ঘরে পৌঁছোনোর অনেক আগেই অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন হার্টের সমস্যায়। 

কেন বাড়ছে এই সমস্যা? অনেকেই বলছেন, নিরন্তর বেড়ে চলা মানসিক চাপ তো একটা কারণ বটেই।, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে খাওয়াদাওয়ায় নানা রকম বেনিয়ম। তার উপর কোভিডের কারণেও মানসিক চাপ বেড়ে গিয়েছে অনেকের। কমেছে শরীরচর্চা বা হাঁটাহাঁটির অভ্যাসও। তাই সব মিলিয়ে প্রভাব পড়ছে হার্টের উপর। বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা। 

কিন্তু হার্ট অ্যাটাক কি সব সময়েই জানান না দিয়ে হয়? আগে থেকে কি টের পাওয়া একেবারেই সম্ভব নয়? সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রখর সিংহ বলেছেন, হৃদযন্ত্রের যে সমস্যা হচ্ছে, এ কথা আগে থেকেই টের পাওয়া সম্ভব। এ জন্য কয়েকটি লক্ষণের দিকে খেয়াল রাখতে বলছেন তিনি। 

তাঁর বক্তব্য, যদি এই লক্ষণগুলির দিকে খেয়াল রাখা যায়, তাহলে বোঝা যায়, হার্টের কোনও না কোনও সমস্যা হচ্ছে। আর তাহলেই দ্রুত চিকিৎসকরে পরামর্শ নেওয়া যায়। 

কোন কোন লক্ষণ দেখলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন? রইল তিনটি লক্ষণের কথা।

  • বুকে ব্যথা: অনেকেই বুকে ব্যথাকে বিশেষ পাত্তা দেন না। অনেকে আভার এটিকে গ্যাসের সমস্যা বা হজমের সমস্যা ভেবে নিয়ে উড়িয়ে দেন। কিন্তু হার্টের সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণই হল বুকে ব্যথা। তার সঙ্গে পিঠ বা কাঁধ এলাকাতেও ব্যথা হতে পারে। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 
  • ক্লান্তি এবং অবসন্নতা: অল্প হাঁটাচলা বা শরীরচর্চাতেই কি খুব ক্লান্ত লাগছে? বা সাইকেল চালানোর সময়ে মনে হচ্ছে, আ পারছেন না? তাহলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ হার্ট দুর্বল হয়ে গেলে শরীরের সব পেশিতে ঠিক করে অক্সিজেন পৌঁছোতে পারেন না। আর সেটিই ক্লান্তির কারণ।
  • অনিয়মিত হৃদস্পন্দন: এটিও হার্টের সমস্যার একটি লক্ষণ। হার্ট ঠিক করে কাজ না করলে হৃহস্পন্দনের গতি এলোমেলো হয়ে যায়। ঠিক করে নিয়মিতভাবে হৃদযন্ত্র কাজ করে না। এমন কোনও লক্ষণ দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

যাঁদের খুব মানসিক চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়, খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম মানতে পারেন না, শরীরচর্চার সুযোগও একেবারে নেই— তাঁদের নিয়মিত হার্টের পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়ম মেনে চললে অবশ্যই হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। 

বন্ধ করুন