ফের আরও একবার বাজার চলতি বহু ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিল কেন্দ্র। গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় এবার ১৫৬টি ককটেল ওষুধ বা FDC বাতিল করে দিল মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার থেকেই ওষুধগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই ওষুধগুলি শরীরের জন্য বিপজ্জনক বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে।
কেন্দ্রের তরফ থেকে যে ওষুধগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, ডোজ কম্বিনেশন অথবা ককটেল ওষুধ। সাধারণত ককটেল ওষুধ বলতে বোঝায়, একটি ওষুধের মধ্যে অনেকগুলি ওষুধের সংমিশ্রণ থাকা। কিন্তু সম্প্রতি বিশেষজ্ঞ কমিটি পরীক্ষা করে জানিয়েছে, যে ওষুধগুলি একাধিক ওষুধের সংমিশ্রণ দিয়ে তৈরি হয়, তা রোগীদের পক্ষে বিপজ্জনক।
(আরও পড়ুন: ধূমপান করেন? ফুসফুসের ক্ষতি তো করছেনই, হার্টের কতটা ক্ষতি করছেন জানেন)
বিশেষজ্ঞ কমিটির দেওয়া রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মোদি সরকার এই ওষুধগুলি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই ১৫৬ টি ওষুধের তালিকায় রয়েছে অ্যাসিক্লোফেন্যাক ৫০ এমজি + প্যারাসিটামল ১২৫ এমজি, মেফেনামিক অ্যাসিড + প্যারাসিটামল ইনজেকশন, সেটিরিজাইন এইচসিএল + প্যারাসিটামল + ফেনিলেফ্রিন এইচসিএল লিভোসেট্রিজাইন + ফেনিলেফ্রিন এইচসিএল + প্যারাসিটামল প্যারাসিটামল + ক্লোরফেনির্মাইন মালেট + ফেনিল প্রোপানোলামিন এবং ক্যামিলোফিন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড ২৫ এমজি + প্যারাসিটামল ৩০০ এমজি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেখানে উল্লেখিত ওষুধগুলি নিরাপদ বিকল্প পাওয়া যায়, সেখানে এই ফিক্সড ডোজ সংমিশ্রনের ওষুধের ব্যবহার মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এফডিসি অর্থাৎ ককটেল ওষুধ মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, তাই বৃহত্তর জনস্বার্থে ড্রাগস এন্ড কসমেটিক অ্যাক্ট ১৯৪০-এর ধারা ২৬ ক-এর অধীনে এই এফডিসিগুলির উৎপাদন, বিক্রয় বা বিতরণ নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।
(আরও পড়ুন: ফের নামছেন নীরজ, প্যারিসে রুপো ছাড়াও নজর কেড়েছিল ৫২ লাখের ঘড়ি!)
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, রোগীদের ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য কোনও ধরনের বিধি নিষেধ ন্যায় সঙ্গত নয়, তাই ২৬ ক - ধারার অধীনে শুধুমাত্র নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করা হয়েছে। তালিকায় এমন কিছু পণ্য রয়েছে, যা ইতিমধ্যেই অনেক ওষুধ প্রস্তুতকারকরা তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জুন মাসেও ৩৪৪টি ড্রাগ কম্বিনেশনের ১৪টি ককটেল ওষুধ নিষিদ্ধ করেছিল কেন্দ্র। যে ওষুধগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তার মধ্যে ছিল হার্টের ওষুধ, ডাইবিটিস, প্রেসার থেকে শুরু করে মাল্টিভিটামিনের ওষুধ পর্যন্ত।