বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Environment Protection: পাখির বাসা, অন্য প্রাণীর ঘর আছে, এমন পুরনো গাছ বাঁচাতে উদ্যোগ রাজ্য সরকারের

Environment Protection: পাখির বাসা, অন্য প্রাণীর ঘর আছে, এমন পুরনো গাছ বাঁচাতে উদ্যোগ রাজ্য সরকারের

পুরনো গাছ বাঁচাতে নতুন উদ্যোগ সরকারের। (প্রতীকী ছবি)

Environment Protection: গাছের বয়স শত বছরের বেশি এবং তাতে যদি হয় পাখি এবং অন্য প্রাণীর বাস, তাহলে সেই গাছ কাটা যাবে না। এগুলি বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ রাজ্য সরকারের।

চাইলেই আর কেটে ফেলা যাবে না পুরনো গাছ। বিশেষ করে সেই গাছের বয়স যদি হয় একশো বছরের বেশি, আর তাতে যদি থাকে পাখির বাসা এবং অন্য প্রাণীর বাস। এই ধরনের গাছ বাঁচাতে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এমনই জানা গিয়েছে ‘স্টেট বায়োজাইভার্সিটি বোর্ড’-এর সূত্রে। 

কেন এই ধরনের গাছ সংরক্ষণের জন্য এণন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যে সব গাছের বয়স একশোর উপরে চলে গিয়ছে, সে সব গাছে সাধারণ বহু ধরনের প্রাণীর বাস হয়। এর মধ্যে যেমন থাকে পাখি, তেমনই থাকে বাদুড়ও। কিন্তু শেষ এখানেই নয়। এর সঙ্গে থাকে প্রচুর পোকামাকড় এবং জীবাণু। সব মিলিয়ে এই ধরনের গাছ নিজের শরীরে লালন করে একটি বাস্ততন্ত্র। আর তাই এই গাছ কেটে ফেলা মানে, পরিবেশের বিরাট ক্ষতি করে ফেলা। সেই কারণেই এমন অভিনব উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। 

(আরও পড়ুন: ভারতে ছাপা চিনা ভাষার একমাত্র সংবাদপত্র বন্ধ, শেষ হল কলকাতার ইতিহাসের এক অধ্যায়)

জানা গিয়েছে, আপাতত গাছ চিহ্নিত করণের কাজ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে বীরভূমের কয়েকটি গাছকে চিহ্নিতও করা হয়েছে। তার পাশাপাশি আমখই উড ফসিল পার্ক সংলগ্ন এলাকাটিও আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই এলাকায় বেশ কয়েক বছর আগে একটি পুকুর খননের সময়ে স্থানীয় মানুষ পাথরের মতো আকৃতির একটি গাছের কাণ্ডের সন্ধান পান। বিশেষজ্ঞরা পরে জানানি এটি একটি গাছের জীবাশ্ম। আন্দাজ এটি প্রায় ১ কোটি বছরের পুরনো। তার পর থেকেই এই এলাকাটি পরিবেশবিদদের আলাদা করে নজর কেড়েছে। এই এলাকার পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়েও রাজ্যের পরিবেশবিদরা বেশ সক্রিয়। সেই কারণেই এই এলাকার বেশ কিছু গাছের সংরক্ষণরেও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

(আরও পড়ুন: ১০০ বছরের বেশি বাঁচতে চান? সহজ রাস্তা বলে দিলেন শত বছর পার করা চিকিৎসক)

গাছের পাশাপাশি বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডের তরফে প্রাণীজগতের সংরক্ষণের কথাও ভাবা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে মাছের কথা। নানা জলাশয়ে মাছের নানা জাতের বৈচিত্র যাতে নষ্ট না হয়, তার জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আপাতত গাচ দিয়ে এই কাজটি শুরু হচ্ছে। পরে পরিবেশের অন্য ক্ষেত্রগুলিতেও এই উদ্যোগ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও শোনা গিয়েছে। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup 

বন্ধ করুন