প্রতি বছর ২৮ ফেব্রয়ারি জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসাবে পালন করা হয়। দেশ তৈরির পিছনে, দেশের অগ্রগতির পিছনে বিজ্ঞানীদের ভূমিকার কথা মাথায় রেখে এই দিনটি পালন করা হয়। কিন্তু এছাড়াও এই দিনটি পালনের পিছনে রয়েছে অন্য আর এক ঘটনাও। বিশেষ দিনটি পালনের পিছনে ভূমিকা আছে বিজ্ঞানী সিভি রামনের।
কেন পালন করা শুরু হয়েছিল জাতীয় বিজ্ঞান দিবস?
১৯৮৭ সালে প্রথম বার পালিত হয় এই দিনটি। এই দিনটি পালনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল রামন এফেক্ট বা রামন ক্রিয়া আবিষ্কারের দিনটিকে।
(আরও পড়ুন: বিশ্ব বেতার দিবসে ফিরে আসছে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’, রেডিয়ো-প্রেমীদের জন্য চমক)
কে ছিলেন সিভি রামন?
স্যর চন্দ্রসেখর ভেঙ্কট রামন ছিলেন একজন পদার্থবিদ। ১৯২৮ সালে তিনি রামন এফেক্ট আবিষ্কার করেন। এই কারণে ১৯৩০ সালে তিনি পদার্থবিদ্যায় নোবেল পান। মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনস্ত প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে তিনি ১৯১৭ সালে মাস্টার ডিগ্রি পান। তার পরে কলকাতাবিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসাবে পড়াতে শুরু করেন।
১৯৩৩ সালে তিনি বেঙ্গালুরুতে ইন়্িয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স তৈরি করেন। সেখানকার পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধানের দায়িত্বও তিনি সামলান। ১৯৪৭ সালে তাঁকে রামন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টরের দায়িত্বভার দেওয়া হয়।
রামন এফেক্ট কী?
ফোটন কণার অস্থিতিস্থাপক বিকিরণকে বলা হয় রামন এফেক্ট। ১৯২৮ সালে সিভি রামন ও তাঁর ছাত্র কেএস কৃষ্ণণ তরল পদার্থে ‘রামন এফেক্ট’ আবিষ্কার করেন। রামনের নাম থেকেই এর নামকরণ করা হয়। ১৯৩৩ সালে অস্ট্রিয়ার পদার্থবিদ অ্যাডলফ স্মেকাল তাত্ত্বিকভাবে এটির বর্ণনা করেন।
আলো যখন কোনও স্বচ্ছ পদার্থের মধ্যে দিয়ে যায়, তখন তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য পরিবর্তনের ব্যখ্যা দেয় এই রামন এফেক্ট। অর্থাৎ সহজ কথায়, আলো ভেঙে যে বিচ্ছুরণ ঘটে,এটি তারই ব্যখ্যা। কলকাতার ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স’-এ এই আবিষ্কারটি করেছিলেন সি ভি রমন।
১৯২১ সালে জাহাজে চেপে ইউরোপ যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরের জলে নীল আলোর বিচ্ছুরণ দেখে এই ভাবনা মাথায় আসে তাঁর। এরপর ল্যাবরেটরিতে বসে তিনি মার্কারি ল্যাম্প ও বরফের টুকরো দিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন। এই পরীক্ষার ফল তিনি প্রকাশ করেছিলেন ১৯২৮ নাগাদ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup