বিগত বেশ কয়েক বছরে হার্ট অ্যাটাক অথবা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। আগে এই মৃত্যুর হার শুধুমাত্র বয়স্কদের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যেত, যা এখন যে কোনও বয়সী মানুষের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। সব থেকে বড় কথা হল, এই সমস্যায় রোগীকে বাঁচানোর বিন্দুমাত্র সময় পাওয়া যাচ্ছে না। তার আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে সবকিছু। আপনার হার্ট কতটা সুস্থ? জানেন? এই লক্ষণগুলি থাকলে এখনই পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসকের।
অস্বাস্থ্যকর হার্টের লক্ষণ গুলি
বুকে ব্যথা: বুকে ব্যথা মানেই যে হার্টের সমস্যা তা কিন্তু নয়। অনেক সময় গ্যাস থেকেও বুকে ব্যথা হতে পারে। তবে প্রায়শই যদি বুকে ব্যথা হতে থাকে, বা বুকে চিনচিন করে কোনও ব্যথা অনুভূত হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার হার্ট ভালো নেই।
(আরো পড়ুন: নারীর নাকে অজান্তেই বাসা বেঁধেছে শত শত পোকা, ডাক্তাররাও অবাক, চিকিৎসা কীভাবে সম্ভব)
নিশ্বাসে সমস্যা: প্রায়শই যদি আপনার নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হয়, তাহলে বুঝতে হবে হার্টের কোনও সমস্যা তৈরি হচ্ছে। হার্ট ব্লক হলে অনেক সময় এমন সমস্যা দেখা দেয়।
অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন: মাঝে মাঝেই যদি অনিয়মিত হৃদস্পন্দন হয়, অর্থাৎ হঠাৎ করে যদি আপনার হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় বা কমে যায়, তাহলে বুঝতে হবে আপনি ভালো নেই।
ক্লান্তি: খুব সহজে যদি আপনার ক্লান্তি চলে আসে তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে কোনও সমস্যা তৈরি হচ্ছে। পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও যদি ক্লান্তি থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ঘেমে যাওয়া: পা, হাতের তালু যদি অস্বাভাবিকভাবে ঘামতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার হার্টের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
(আরো পড়ুন: অলস জীবনযাপন করছেন? শরীরকে সক্রিয় রাখতে সেরা উপায় বাতলে দিল সরকারি সংস্থা)
হার্টকে সুস্থ রাখার উপায়:
সুষম খাবার খান: শাকসবজি, ফলমূল, প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। বাড়িতে তৈরি খাবার খান যতটা পারবেন।
অ্যাকটিভ থাকুন: নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি অথবা ব্যায়াম করুন। এছাড়া সাইকেলিং এবং সুইমিং করলেও আপনার হার্ট ভালো থাকবে।
স্ট্রেস কমান: কাজের যতই চাপ থাকুক না কেন, মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। বন্ধু-বান্ধব এবং পরিজনদের সঙ্গে কথা বলুন কোনও সমস্যা হলে। দেখবেন অনেকটা চাপমুক্ত থাকবেন।
ধূমপান এবং মদ্যপান ত্যাগ করুন: ধূমপান এবং মদ্যপান শরীরের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকারক তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এই দুটি জিনিস থেকে দূরে থাকলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।
নিয়মিত চেকআপ করুন: ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টেরল এগুলি মাঝেমধ্যেই চেকআপ করুন। হঠাৎ করে যদি কোনও সমস্যা তৈরি হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি সেটা ধরা পড়ে যাবে।