পাহাড় মানেই গা ছমছম পরিবেশ এবং ভূতের গল্প। নিঝুম নিরালা পরিবেশে যে সমস্ত কটেজ রয়েছে, সেখানে কখনও না কখনও ভুতুড়ে অভিজ্ঞতা হয়েছে পর্যটকদের। তেমনই একটি ঐতিহ্যময় কটেজ হলো কালিম্পং-এর মর্গ্যান হাউস।
পাহাড় প্রেমী মানুষরা পাহাড়ে যাবেন আর মর্গ্যান হাউসে যাবেন না তা হতেই পারে না। ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া এই কটেজটি বর্তমানে রাজ্য সরকারের পর্যটন দপ্তরের ‘বুটিক হোটেল’ নামে পরিচিত। তবে বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে এই ঐতিহ্যময় কটেজ।
ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই মর্গ্যান হাউস কালিম্পং-এর ডরচক এলাকা থেকে ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অনেকেই বাইকে করেই যান ঐতিহ্যময় এই কটেজটি দেখতে। পুরনো ঐতিহ্য বজায় রাখার জন্যই এবার পুজোর আগে এই কটেজটি সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
(আরও পড়ুন: ফল কিংবা সবজি, গোটা খাওয়া ভালো নাকি রস করে? উত্তর দিলেন পুষ্টিবিদ)
শুধু মর্গ্যান হাউস নয়, উত্তর ভারতের ছ'টি অতিথি নিবাস সংস্কার করার জন্য মোট ১০ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। যদিও নির্বাচনের জন্য সেই কাজ আটকে যায় তাই গত আগস্ট মাসে পাহাড়ের পাঁচটি অতিথি নিবাস সংস্কার করার জন্য ফের কোটি টাকা দেওয়া হয়।
মর্গ্যান হাউস সংস্কারের জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পাওয়া গেছে ২২ লক্ষ টাকা। কটেজটির ভেতরের কাজের জন্য আলাদা করে কলকাতা থেকে দেড় কোটি টাকার টেন্ডার ডাকা হয়। বর্ষাকাল চলে গেলেই এই কটেজটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে রাজ্য পর্যটন দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ‘এই হাউসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে মানুষের মধ্যে। ব্রিটিশ আমলের পাইন কাঠ এবং পাথরের তৈরি এই কটেজটির নকশা অবিকল রেখে সংস্কার করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
(আরও পড়ুন: একটি ডিমেই হয়ে যাবে কামাল, চুল ঘন আর সিল্কি করার জন্য মাখুন এই হেয়ার মাস্ক)
এই বিষয়ে জিটিএ-এর মুখপাত্র শক্তি প্রসাদ শর্মা বলেন, ‘মর্গ্যান হাউসে এখন নানা সামাজিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই কটেজটির সংস্কার করা হবে। বড়দিনের আগেই কাজ শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তবে এই হাউসটি এখন সবসময় পর্যটকদের দ্বারা বুকিং থাকে বলে কাজ করতে কিছুটা অসুবিধে হচ্ছে।’