ভারতে ঢুকে পড়ল ওমিক্রনের নতুন রূপ। এই রূপটি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জোরদার আলোচনা চলছে সারা বিশ্বের চিকিৎসক মহলে। বলা হচ্ছে, এটি নাকি ওমিক্রনের আগের রূপগুলির চেয়ে এই রূপটির সংক্রমণের হার নাকি অনেক বেশি। আর সেই কারণেই এটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা। সেটিই এবার পাওয়া গেল গুজরাটে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ওমিক্রনের নতুন রূপ BF.7 ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়েছে চিনে। ইতিমধ্যেই সেখানকার বিজ্ঞানীরা রীতিমতো উদ্বেগে এই রূপটি নিয়ে। শুধু তাই নয়, চিনের বেশ কিছু এলাকায় এই রূপটির কারণে ইতিমধ্যেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আর সেটিই চিন্তায় ফেলেছে বিজ্ঞানীদের। ভারতেও কি এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে?
কেন এই রূপটি নিয়ে এত দুশ্চিন্তা?
বিজ্ঞানীদের মতে, ওমিক্রনের নতুন রূপটি নিয়ে আলাদা করে ভাবার প্রয়োজন আছে, তার কারণ এটির সংক্রমণের হার বাকি ওমিক্রনের তুলনায় অনেক বেশি। এটি অনেক কম সময়ের মধ্যে অনেক বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া এটি শরীরের মধ্যে দ্রুত সংক্রমিত হয়। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে একটি এলাকার বহু মানুষ এতে সংক্রমিত হয়ে পড়েন।
ভারতে কী করতে বলছেন বিজ্ঞানীরা?
ভারতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০০-র কাছাকাছি প্রজাতির ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছিল। নতুন এই রূপটি ঠেকাতে কী কী করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা:
- প্রথমত, নিয়ম মেনে টিকা নিতে হবে। যাঁদের টিকার নেওয়ার সময় এসেছে, তাঁদের টিকার ডোজ বাদ দিলে চলবে না। তার সঙ্গে রয়েছে নিয়ম করে বুস্টার নেওয়াও।
- এর পাশাপাশি করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপরেও জোর দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। করোনা এখনও চলে যায়নি। তাই মাস্ক পরার উপর জোর দিচ্ছেন তাঁরা।
- প্রয়োজন মতো কোভিড পরীক্ষা করানোর কথাও বলা হচ্ছে। তাতে দ্রুত করোনা চিহ্নিত করা যাবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
ভারতে কতটা ভয়ের হতে পারে নতুন ওমিক্রন?
আইসিএমআর-এ তরফে চিকিৎসক রমন গান্ধেকর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কেন এই রূপটি নিয়ে আলাদা করে ভাবার প্রয়োজন আছে। তবে আতঙ্কের প্রয়োজন নেই। কী কী বলছেন তিনি:
- এই ওমিক্রনের সংক্রমণের হার আগের ওমিক্রনগুলির তুলনায় অনেক বেশি। ফলে এটি নিয়ে ভাবা দরকার।
- এখন ভারতের জন সংখ্যার বড় অংশের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। ফলে আলাদা করে এটি বিপদ ডেকে আনবে— এমন ভেবে আতঙ্কে থাকার প্রয়োজন নেই।
- প্রত্যেকে যদি নিয়ম মেনে টিকা নেন, তাহলে এই নতুন ওমিক্রনকে ঠেকানো সম্ভব।
সব মিলিয়ে এই ওমিক্রন ভারতের জন্য খুব ভয়ের হয়ে উঠতে চলেছে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। যদিও তাঁরা বিষয়টির উপর কড়া নজর রাখছেন এবং প্রত্যেকের টিকাকরণে জোর দিচ্ছেন।