কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ের জন্য নানারকম ওষুধই ব্যবহার করে থাকেন। তার কোনওটাতে কিছুদিন কাজ হয়, আবার কোনওটায় একেবারেই কাজ হয় না। প্রায়ই দেখা যায়, সমস্যার কোনও সুরাহা হয় না। তবে কোষ্ঠকাঠিন্য এসবের থেকে অনেক কম খরচে কমানো যেতে পারে। এত জটিল পথে নানারকম ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা না করেও কোষ্ঠকাঠিন্য কমানো যায়। সেক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে পটল।
পটল একটি গ্ৰীস্মকালীন ফসল। এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি ও শর্করা। এছাড়া শরীরের উপযোগী নানারকম ধাতু যেমন ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, তামা, ক্লোরিন ও গন্ধকও। এই ধাতুগুলি শরীরের নানারকম কার্যকলাপ সক্রিয় রাখতে মুখ্য ভূমিকা নেয়। পটলে এর পাশাপাশি থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ ও সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে কাজে লাগে। এতরকম গুণ রয়েছে যে সবজির, সে সবজিটি কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতেও কিন্তু সমান তৎপর। পটলের মধ্যে রয়েছে ফাইবার। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সহজেই দূর করে। ফাইবার সমৃদ্ধ যেকোনও খাবারই এই ভূমিকা নিয়ে থাকে। ফাইবার অন্ত্রের কার্যপ্রণালী ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ফলে মলনির্গমন সহজে সময়মত হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধান ছাড়াও পটল খাবার হজম করতেও সাহায্য করে। লিভারের সমস্যার কারণে অনেকসময় খাবার হজমে নানারকম সমস্যা তৈরি হয়। লিভারের সমস্যার সমাধানেও পটল সমানভাবে উপযোগী।
পটলের মধ্যে শর্করা থাকলেও তার পরিমাণ কম। অন্যদিকে পটল ফাইবার জাতীয় খাবার হওয়ায়, অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে এটি সাহায্য করে। অর্থাৎ ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও পটল মুখ্য ভূমিকা নেয়।ওজন কমাতে ডায়েটে যে ধরনের খাবার রাখা হয়, তাদের তুলনায় পটল যথেষ্ট সস্তা। ফলে খিদে কমিয়ে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে পটলের জুড়ি মেলা ভার। পটলের বীজ নিয়মিত খেলে রক্ত থেকে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। পাশাপাশি এটি রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পটল ও ধনেপাতা বেঁটে মন্ড তৈরি করে তাতে মধু মিশিয়ে দিনে তিনবার খেলে হজমের সমস্যাও দূর হয়।