ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। কী করে এই অবস্থায় নিরাপদ থাকা যায়, তা নিয়ে চিন্তায় সব মহলই। ভ্যাকসিন এই পরিস্থিতিতে কতটা কাজ করছে, রোগ প্রতিরোধ শক্তিই বা কতটা আটকাতে পারছে করোনার এই রূপটাকে— তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে আসছে। কিন্তু একটি বিষয়ে সকলেই মোটামুটি একমত। মাস্ক পারে ওমিক্রনকেও কিছুটা ঠেকিয়ে রাখতে। তাই চিকিৎসকরা জোর দিচ্ছেন সকলের মাস্ক পরায়। এমনকী প্রধানমন্ত্রীও দেশের নাগরিকদের নিয়ম মেনে মাস্ক পরার কথা বলেছেন।
মাস্ক তো পরবেন? কিন্তু কেমন হবে সেই মাস্ক? বড়দের N95 বা FFP2 মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কাপড়ের বা সার্জিক্যাল মাস্ক হলে একসঙ্গে দুটো পরতে বলা হচ্ছে। কিন্তু ছোটদের ক্ষেত্রেও কি তাই? তাদের কেমন মাস্ক পরানোর কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বড়দের মাস্কই ছোটদের পরানো হয়। এক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায়, মাস্কের দুটো পাশ এবং থুতনির নীচের অংশে ফাঁক থেকে যায় এমন হলে। সেখান দিয়ে হাওয়ার সঙ্গে জীবাণুও ঢুকতে পারে। তাই শিশুদের এমন মাস্ক পরাতে হবে, যা মুখের সঙ্গে টাইট হয়ে বসবে। আশপাশে বিশেষ ফাঁক থাকবে না।
আরও একটি কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কাপড়ের মাস্ক খুবই কার্যকর হয়ে উঠতে পারে। যাঁরা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন, উপসর্গ দেখা দিয়েছে বা কোনও উপসর্গ ছাড়াই সংক্রমণ হয়ে রয়েছে— তাঁরা কাপড়ের মাস্ক পরতেই পারেন। তাতে তাঁধের থেকে জীবাণু অন্যদের শরীরে পৌঁছোবে না। কিন্তু যদি কাউকে জীবাণুর আক্রমণ থেকে বাঁচাতে হয়, তাহলে তাঁদের আরও একটু ভালো মানের মাস্কের দরকার।
ছোটদের জন্য মাস্ক নিয়ে কেমন পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?
- ছোটদের মুখে টাইট ভাবে আটকে থাকে, এমন মাস্ক পরাতে হবে। দরকার হলে মাস্কের দু’পাশের দড়ি একটু টাইট করে দিতে হবে। তাতেও মাস্ক মুখের ওপর ভালো ভাবে বসবে।
- যে সব শিশুরা সুস্থসবল, তাদের কাপড়ের মাস্ক বা সার্জিক্যাল মা্ক পরানো যেতেই পারে। কিন্তু একটা নয়। একসঙ্গে দুটো করে।
- শিশুদের মাস্কে কখনও স্যানিটাইজার স্প্রে করা উচিত নয়। তাতে ওদের ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
- যে সব শিশুরা জটিল কোনও অসুখে ভুগছে, তাদের N95 বা FFP2 মাস্ক পরাতে হবে। এবং তাদের সামনে যাওয়ার সময়েও বড়দের সচতেন থাকতে হবে। নিজেরা মাস্ক পরে তার পরেই ওই সব শিশুর সামনে যেতে হবে।