এক বোতল,আধ বোতল নয়। বোতলের পর বোতল গরুর দুধ ফেলে দেওয়া হচ্ছে মাটিতে। ইংল্যান্ডের সুপারমার্কেটে ঘটে চলেছে এই ঘটনা। হালে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের ভিডিয়ো রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একের পর এক সুপারমার্কেটে ঢুকছেন যুবক-যুবতীরা। আর তাক থেকে গরুর দুধের বোতল নামিয়ে এনে সেই দুধ ঢেলে দিচ্ছেন মাটিতে।
কেন এমন ঘটনা ঘটাচ্ছেন তাঁরা?
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যানিমাল রেবেলিয়ন নামের একটি গ্রুপের ভিডিয়ো নিয়ে খুবই চর্চা শুরু হয়েছে। সেই গ্রুপের তরফে একের পর এক ভিডিয়ো পোস্ট করা হচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, এই ভাবে দুধের বোতল থেকে দুধ ঢেলে ফেলে দেওয়া হচ্ছে মাটিতে।
যাঁরা এই কাজ করছেন, ভিডিয়োয় তাঁদের বলতে দেখা গিয়েছে, উদ্ভিজ্জ খাবারই আমাদের ভবিষ্যৎ। গরুর বা অন্য প্রাণীর দুধ পরিবেশের জন্য মোটেই ভালো নয়।
বহু পরিবেশ আন্দোলনকারী দীর্ঘ দিন ধরেই এ ধরনের কথা বলে আসছেন। তাঁরা বলছেন, পরিবেশ বাঁচাতে উদ্ভিজ্জ খাবারই খেতে হবে। না হলে কার্বোন ফুটপ্রিন্টের মাত্রা বাড়বে আর সেটি আণাদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে। এছাড়াও আরও এক দলের বক্তব্য অন্য প্রাণীর দুধ মানুষ খাওয়ার অর্থই হচ্ছে সেই প্রাণীর শাবকরা দুধ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সব মিলিয়েই তাই এই অভিনব প্রতিবাদের রাস্তায় পরিবেশকর্মীরা।
তবে এর যে কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটছে না, তাও নয়। বেশ কয়েকটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, দুধ মাটিতে ঢেলে নষ্ট করার সময়ে অন্য ক্রেতারাও তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, এই কাজটি করা উচিত নয়। একটি ভিডিয়োতে এমনও শোনা গিয়েছে, এক জন এই পরিবেশ কর্মীদের উদ্দেশে বলছেন, সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য যদি উদ্ভিজ্জ জিনিসপত্র ব্যবহার করাই একমাত্র পথ হয়, তাহলে তাঁরা নিজেরা জুতো পরে আছন কেন? সেগুলো তো উদ্ভিজ্জ নয়। কেউ কেউ এমনও বলেছেন, পৃথিবীর বড় অংশের শিশুরা যেখানে পুষ্টির অভাবে ভুগছে, সেখানে এভাবে দুধ ফেলে নষ্ট করা আদৌ কতটা যুক্তিসঙ্গত।
তবে শেষ পর্যন্ত এই প্রতিবাদ ইংল্যান্ডে বড় আকার ধারণ করেছে। এবং আগামী দিনে এটি আরও বড়সড় দিকে এগোতে পারে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে রেখেছেন পরিবেশ কর্মীরা। সরকার কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে, বা এই আন্দোলনের কারণে নীতিগত কোনও বদল আসে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগে দেশের সাধারণ মানুষ।