জঙ্গলমহলে পর্যটকের ভিড় বাড়াতে এবার ঝাড়গ্রামে তৈরি হবে টাইগার সাফারি। রবিবার ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কের ইন্ডোর মিটিং হয়। বন দফতর সূত্রে খবর, রবিবারের এই বৈঠকে এমনটাই পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, ওয়েস্টবেঙ্গল জু অথরিটির সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী, পশ্চিম চক্র মুখ্য বনপাল বিজয়কুমার সালিমঠ, ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম, পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের মেদিনীপুর ডিভিশনাল ম্যানেজার পঙ্কজ সূর্যবংশী।
সেন্ট্রাল জু অথরিটির বিচারে সারা দেশের মধ্যে সেরা চিড়িয়াখানা হিসেবে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছিল 'জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক'। গত বছরই তাঁদের মুকুটে এই নতুন পালক জুড়ে ছিল। আর এবার এই চতুর্থ স্থান অধিকারী চিড়িয়াখানাকে নতুন করে, ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা শুরু করল বন দফতর তথা রাজ্য। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু বড় সাপের এনক্লোজার করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে এখানে। শুধু তাই নয় এখানে থাকবে বাংলার অরণ্যের মূল আকর্ষণ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। তাছাড়াও জঙ্গলমহলের জুলজিক্যাল পার্কে থাকা একটি ফিশিং ক্যাটকে এদিন বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা নিজে দত্তক নেন।
আরও পড়ুন: বাড়ি না সিনেমা হল? সঞ্জয় দত্তের ৬৫তম জন্মদিনে দেখুন তাঁর বাড়ির অন্দরের ঝলক
এ প্রসঙ্গে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আরও আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে এই চিডিয়াখানাকে। ফলে আমারা আশাবাদী পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে ঝাড়গ্রামে। আমি নিজেও একটি ফিশিং ক্যাট দত্তক নিয়েছি।' এই বৈঠকের পর দফতরের কর্তাদের নিয়ে শালবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের আমলাচটি ভেষজ উদ্যানটিও ঘুরে দেখেন বনমন্ত্রী। সবটা পরিদর্শন করে সেখানের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও ইকো টুরিজ্যম নিয়েও নানা বিষয়ে নিজের মতামত জানান।
প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালে ঝাড়গ্রাম শহরে এই মিনি জু বা তৎকালীন ডিয়ার পার্কটি প্রথম গড়ে তোলা হয়। তারপর রাজ্যে বদল আসে। শাসক দল ক্ষমতায় আসে। তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মিনি জু বা ডিয়ার পার্কার নাম বদলে 'জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক' নামকরণ করেন। শুরু হয় এই পার্কের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন মূলক কাজ। প্রায় ৩৩ একর জমির ওপর এই কাজ শুরু করা হয়। তারপর এই চিড়িয়াখানায় আনা হয় চিতাবাঘ। পার্কের মধ্যে জঙ্গলের মতো শান্ত পরিবেশ থাকার কারণে প্রাকৃতিক নিয়মে স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই সন্তানের জন্ম দেয় এখানকার পশুপাখিরা। যা অন্য চিড়িয়াখানাতে বিরল।