উৎসবের মরশুম। এক না একদিন তো পার্টি লেগেই রয়েছে। আর সেখানে যেমন দেদার খাওয়াদাওার ব্যবস্থা আছে, তেমনই পানের ব্যবস্থাও তো থাকছে। নিয়ম মেনে মদ্যপানে অসুবিধা নেই। কিন্তু উৎসবের মরশুমে ক’জনই বা আর নিয়ম মানেন! তার ফল ভুগতে হয় পরের দিন। হ্যাংওভারে মাথা তোলা দায় হয়ে যায়।
কী করে এই হ্যাংওভার থেকে মুক্তি পাবেন? সাধারণ কয়েকটা ঘরোয়া উপায়েই তা সম্ভব। রইল তেমন কয়েক রাস্তার সন্ধান:
ভালো করে জলখাবার খান (Eat a good breakfast):
ভারী জলখাবার খেলে হ্যাংওভারের সমস্যা অনেকটা কাটতে পারে। এই ভারী জলখাবারের তালিকায় থাকতে পারে অল্প পাউরুটি, পিনাট বাটার, কলা, কমলালেবু, অন্য কোনও ফলের রস, এবং অবশ্যই ডিম। এই খাবারগুলো দিয়ে দিন শুরু করলে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। ফলে হ্যাংওভার অনেকটা কেটে যেতে পারে।
প্রচুর জল খান (Stay hydrated):
শরীর শুকিয়ে যাওয়া হ্যাংওভারের অন্যতম কারণ। শরীরে জলের পরিমাণ বাড়লেই হ্যাংভারের পরিমাণ কমে। রাতেপার্টির সময়েও যতটা পারবেন জল খান। পরের দিন সকালে ভালো করে জল খেতে শুরু করুন। সকালে ঘণ্টা তিনেকে অন্তত ২ লিটার জল খান। তাহলে ডিহাইড্রেশনের মাত্রা কমবে। শরীরে জমা দূষিত পদার্থগুলোও মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে। সেটাও হ্যাংওভার কমাবে।
নুন-চিনির জল খান (Restore electrolytes):
শুধু শরীর শুকিয়ে যাওয়াই নয়, শরীর থেকে ইলেকট্রলাইট বেরিয়ে গেলেও হ্যাংওভার হতে পারে। তাই জলের সঙ্গে নুন-চিনি মিশিয়ে খান। এতে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য ফিরে আসবে। ওআরএস মিশিয়েও খেতে পারেন। তাতে আরও উপকার পাবেন। অনেকে হ্যাংওভার কাটানোর জন্য ক্যামোমাইল চা খান। সেটাও কাজে লাগতে পারে।
আদা খেলে সমস্যা কমবে (Try ginger to ease nausea):
গা বমিবমি, তার মাথা ঘুরছে। হ্যাংওভারের অন্যতম লক্ষণই এটি। তাহলে মুখে আদা কুচি রাখুন। আদার রস এই সমস্যা কমায়। এর সঙ্গে মাঝে মাঝে অল্প করে জলে চুমুক দিন। তাহলে সমস্যা তাড়াতাড়ি কমে যেতে পারে।
বেশি করে ঘুমোন (Get plenty of sleep):
পরের দিন সকালে কোনও কাজ নেই? তাহলে আরও একটু ঘুমিয়ে নিন। যত ঘুমোবেন, হ্যাংওভারের সমস্যা তত তাড়াতাড়ি কমবে। চিকিৎসকরা বলেন, অল্প পরিমাণে অ্যালকোহল ঘুম গাঢ় করে। কিন্তু বেশি মাত্রায় অ্যালকোহল ঘুম পাতলা করে দেয়। এটিও হ্যাংওভারের কারণ। তাই যত বেশি ঘুমোবেন, তত তাড়াতাড়ি মাথাযন্ত্রণা, মাথা ঘোরার মতো হ্যাংওভারের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।