১। রতন আর রানা দুই বন্ধু গাড়িতে করে যাচ্ছিল। রতন পরপর দুবার লাল বাতি দেখেও গাড়ি না থামিয়ে দ্রুতগতিতে রাস্তা পেরিয়ে এল।
রানা: করছিস কী? লাল বাতি দেখেও তুই গাড়ি থামাচ্ছিস না!
রতন: আমি আমার বাবার কাছে এভাবে গাড়ি চালানো শিখেছি।
চলতে চলতে কিছুক্ষণ পর সিগনালে সবুজ বাতি জ্বলতে দেখে রতন গাড়ি থামাল।
রানা: কী হল? এখন কেন গাড়ি থামাচ্ছিস?
রতন: উল্টো দিক থেকে বাবা ছুটে আসতে পারেন!
(আরও পড়ুন: সকাল সকাল দিল খুশ করে নিন, পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস, আর হাসুন মন ভরে)
২। গান শুনতে এসে শ্রোতার আসনে বসা আর এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছেন এক শ্রোতা।
প্রথম ব্যক্তি: ওফ! অবস্থাটা দেখেছেন? গায়িকার কী ভয়ঙ্কর গলা! যেন করাত দিয়ে কাঠ কাটছে।
দ্বিতীয় ব্যক্তি: উনি আমার স্ত্রী।
প্রথম ব্যক্তি: ও…ইয়ে… আসলে গলার তেমন দোষ নেই। তবে গানের জঘন্য কথাগুলোর জন্য তা গাইতে সমস্যা হচ্ছে। এসব গর্দভ গীতিকারদের গান আপনার স্ত্রীকে গাইতে দেন কেন?
দ্বিতীয় ব্যক্তি: এই গানের গীতিকার আমিই।
(আরও পড়ুন: উইকেন্ডের মজা বাড়াতে চান? তাহলে এখনই পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস, হাসুন প্রাণভরে)
৩। পড়াশোনা না জানা ধনী ফরাসী জমিদার প্যারিস থেকে অনেক দিন বাদে গ্রামের বাড়িতে এসেছেন। নিজের প্রিয় ঘোড়ায় চেপে বেরিয়েছেন গ্রাম পরিদর্শনে। যেতে যেতে দেখেন গ্রামের এক প্রান্তে একটা বিরাট বাড়ি, তার সামনে বহু ছেলেমেয়ের ভিড়। দেখে কৌতুহল হল। একজনকে জিজ্ঞেস করলেন, এখানে কী হচ্ছে? ছেলেটি বললে, এটা বিশ্ববিদ্যালয় । ৫oo ফ্রাঁ-এর বিনিময়ে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয়। যারা হাতে বা পায়ের বুড়ো আঙ্গলে কেবল মাত্র টিপ ছাপ দিতে পারে আর টাকাটা দিয়ে দেয় তাদের হাতে হাতে ডিগ্রি মেলে ।
উৎসাহী জমিদার তাই শুনে ভেতরে গেলেন। ৫oo ফ্রাঁ আর টিপ ছাপ দিয়ে একটা ডিগ্রি নিয়ে এলেন। বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ তাঁর মনে হোল ৫oo ফ্রাঁ ও পায়ের টিপ ছাপ দিয়ে তার প্রিয় ঘোড়াটিও তো ডক্টরেট হতে পারে। যা ভাবা সেই কাজ। ফিরে গিয়ে বিশ্বববিদ্যালয়ের উপাচায়াকে বললেন, এই নিন ৫oo ফ্রাঁ আমার ঘোড়ার নামে একটা ডিগ্রি লিখে দিন, ও পায়ের টিপ ছাপও দিয়ে দেবে।
উপাচার্য: সরি, আমরা শুধুমাত্র গাধাদের ডক্টরেট দিয়ে থাকি, ঘোড়াদের দিই না।
(আরও পড়ুন: গরম তো কমছে! এবার একটু হাসুন, পড়ে নিন দিনের সেরা ৫ জোকস, আর মনটা রাখুন ফুরফুরে)
৪। বাবা: ওই ভদ্রলোকের পা মাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলে?
ছেলে: হ্যাঁ। ক্ষমা চাওয়ার জন্য খুশি হয়ে উনি আমাকে এক টাকা দিলেন।
বাবা: তাই নাকি? তা হলে কাঁদছ কেন তুমি?
ছেলে: আবার যখন আর একটা পা মাড়িয়ে ক্ষমা চাইলাম, তখন উনি আমার গালে একটা চড় দিলেন যে।
(আরও পড়ুন: আকাশ মেঘলা, কিন্তু মন থাকুক ঝলমলে! পড়ে নিন, দিনের সেরা ৫ জোকস, জমে যাক দিনটি)
৫। স্ত্রী: ওগো, দেখ, বাইরে থেকে একটা জুতো এসে ঘরে পড়ল।
স্বামী: তুমি গান চালিয়ে যাও, তা হলে এর জোড়াটাও এসে পড়বে।