বহু বহু জাহাজ, বহু বিমান এবং অবশ্যই বহু মানুষ। সকলের নিখোঁজ হওয়ার পিছনে অবদান আছে এই ভৌগলিক অঞ্চলটির। এমনই যুগের পর যুগ ধরে ঘটে এসেছে। কিন্তু জানা যায়নি তার কারণ। রহস্যময় এই জায়গাটির নাম বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল।
কেন এই বিশেষ এলাকায় গেলেই অদৃশ্য হয়ে যেত বিভিন্ন জাহাজ এবং বিমান? যুগের পর যুগ ধরে এর পিছনে নানা তত্ত্ব দেওয়া হত। কেউ কেউ বলতেন, ভিনগ্রহীদের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। কারও মত, এই এলাকার সুমদ্রের ভিতর লুকিয়ে রয়েছে বিরাট চুম্বকীয় বস্তু। কারও কারও বিজ্ঞানের সীমা অতিক্রম করে পৌঁছে গিয়েছে অন্য সংস্কারে। তাঁদের মত, পুরাকালে দেওয়া এক অভিশাপের কারণেই এই ঘটনা ঘটছে।
কিন্তু এই যাবতীয় জল্পনার কি শেষ হতে চলল?
সম্প্রতি এমনই দাবি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানী। কার্ল ক্রুজেলনিকি নামের এই বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তিনি ব্যাখ্যা করতে পারেন, কেন এই ঘটনা ঘটেছে। তাঁর বক্তব্য, এই গোটা বিষয়টির পিছনে রয়েছে ওই এলাকার ভিড়।
হ্যাঁ, বিষয়টি এতটাই বিস্ময়কর। বারমুডা, ফ্লোরিডা এবং পুয়েরতো রিকোর মধ্যে একটি ত্রিভূজ আঁকলে যে ৭ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা তার মধ্যে আসে, সেই সবটিকেই বলে বারুডা ট্রায়াঙ্গেল।
কার্ল ক্রুজেলনিকি বলছেন, এই ত্রিভূজের একপাশেই রয়েছে পৃথিবীর সবচেে ধনী এলাকা। আমেরিকা। ফলে এই এলাকায় জাহাজ চলাচলের পরিমাণ বেশি হবেই। সেটিই পরিসংখ্যানের নিরিখে বাড়িয়ে দিয়েছে ওই এলাকায় দুর্ঘটনার পরিমাণ। আর সেটিই তৈরি করেছে এমন বিস্ময়কর তত্ত্ব।
রহস্যভেদ করতে গিয়ে কার্ল ক্রুজেলনিকি যা বলেছেন, তার সারমর্ম দাঁড়ায়, আসলে ওখানে কোনও রহস্যই নেই।