একটি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করার জন্য যেটি সব থেকে বেশি জরুরী সেটি হল ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। অতিরিক্ত ওজন আপনার জীবনে নিয়ে আসতে পারে একাধিক শারীরিক সমস্যা তাই ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকাটা ভীষণভাবে জরুরী। প্রতিদিন নিয়ম করে শরীর চর্চা এবং হাঁটাহাঁটি করেও যদি ওজন বেড়ে যায়, তাহলে আপনাকে জানতে হবে আপনার ডায়েটে যে খাবারগুলি রয়েছে সেগুলি ওজন বাড়ার পেছনে দায়ী কি না। আজ এই প্রতিবেদনে জেনে নিন এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে, যেগুলি আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
বাদাম: প্রোটিন এবং ফাইবারের সমৃদ্ধ বাদাম স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণভাবে উপকারী। প্রতিদিন বাদাম খেলে হৃদরোগের সমস্যা কমে যায় এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত হয়। এত স্বাস্থ্যকর একটি খাবার হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন বাদাম খেলে আপনার শরীরে ১৫০ থেকে ২০০ ক্যালোরি বেড়ে যেতে পারে। প্রতিদিন যদি আপনি বাদাম খান, সে ক্ষেত্রে তার পরিমাণ কম হওয়া উচিত।
(আরও পড়ুন: মোমো এবং ডিম সামের মধ্যে পার্থক্য কী? মজার উত্তর দিয়ে ভাইরাল দিল্লির ব্যক্তি)
অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডো হলো একটি সুপারফুড যা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং উচ্চ পুষ্টিকর উপাদানের জন্য পরিচিত। শুধু তাই নয়, এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন। হার্টের পক্ষে স্বাস্থ্যকর এই ফলটি রোজ খাওয়া ভালো হলেও একটি মাঝারি অ্যাভোকাডোর মধ্যে থাকে ২৪০ গ্রাম ক্যালরি, ফলে স্মুদি বা স্যালাডে অতিরিক্ত অ্যাভোকাডো খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি।
গ্রানোলা: ওটস, বাদাম এবং শস্য বীজে পূর্ণ গ্রানোলা একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে বাজারে পরিচিত হলেও এতে থাকে অতিরিক্ত ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ক্যালরি এবং অতিরিক্ত শর্করা। ৪ ভাগের ১ ভাগ গ্রানোলায় থাকে ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ক্যালোরি। অতিরিক্ত গ্রানোলা খেলে ওজন বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি শরীরের শর্করার মাত্রাও বেড়ে যায়।
(আরও পড়ুন: ৪৮ লাখ টাকার রোবট কুকুর কিনে বিরাট বিপদ! ভিডিয়ো দেখে চমকে যাবেন)
শুকনো ফল: কিশমিশ, খেজুর, অ্যাপ্রিকটের মতো শুকনো ফলগুলি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে খাওয়া হয় কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কিন্তু এই ফলগুলি যখন শুকনো করা হয় তখন এর মধ্যে অতিরিক্ত শর্করা এবং ক্যালোরি যুক্ত হয়। তাই শুকনো ফল খাওয়ার থেকে তাজা ফল খেলে ওজন বেড়ে যাওয়া আশঙ্কা থাকে না।
স্মুদি বা জুস: অনেকেই আছেন যারা তাজা ফল বা শাকসবজি দিয়ে স্মুদি বা জুস তৈরি করে খান। কিন্তু এই স্মুদি তৈরি করার সময় যে মাখন, কলা, দই বা মধু যোগ করা হয় সেগুলি কিন্তু উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হয়। শুধু স্মুদি না, তাজা ফল দিয়ে তৈরি ফলের রসেও কিন্তু অতিরিক্ত শর্করা থাকে যার ফলে খিদে বেড়ে যায় এবং শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয়। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য তাজা গোটা ফল খাওয়াই উচিত।