পুরুষদের যৌন জীবন সম্পর্কে এই ৫টি বিষয় প্রতি মহিলার জানা উচিত

দুই সঙ্গীর মধ্যে কেবল মানসিক বন্ধনই যথেষ্ট নয়, শারীরিক সম্পর্কও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আজ আমরা আপনাকে পুরুষদের যৌন জীবন সম্পর্কিত কিছু তথ্য জানাচ্ছি, যা আপনার শারীরিক বন্ধন উন্নত করতে সাহায্য করবে।

একটি ভালো এবং সফল সম্পর্কের জন্য, কেবল মানসিক সংযুক্তিই প্রয়োজন নয়, শারীরিক সম্পর্কও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যখন উভয় সঙ্গী একে অপরের শারীরিক চাহিদা বোঝে এবং একে অপরের সাথে সহযোগিতা করে, তখন অবশ্যই একটি সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়। কিন্তু আজও, যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুব কম আলোচনা করা হয় এবং বিশেষ করে ছেলেদের যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রায় কোনও তথ্যই পাওয়া যায় না। উভয় সঙ্গীর একে অপরের শারীরিক চাহিদা এবং আচরণ আরও ভালোভাবে বুঝতে হলে, তাদের একে অপরের যৌন স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত কিছু বিষয় জানা উচিত। আজ আমরা মহিলাদের জন্য তাদের পুরুষ সঙ্গীর অন্তরঙ্গ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু আকর্ষণীয় তথ্য নিয়ে এসেছি, যা তাদের শারীরিক জীবন উন্নত করতে সাহায্য করবে।

আপনার সঙ্গীর সবসময় মেজাজ ভালো থাকা জরুরি নয়।

কিছু মহিলা প্রায়শই মনে করেন যে তাদের পুরুষ সঙ্গী সবসময় ভালো মেজাজে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে, যখন কখনও কখনও তারা যৌন মিলনে অস্বীকৃতি জানায়, তখন মহিলারা তাদের মনে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে শুরু করে। তারা মনে করে যে হয়তো তাদের সঙ্গী তাদের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে অথবা সে আর তাদের তেমন ভালোবাসে না। যদিও এর পিছনে সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণ থাকতে পারে, তাদের মেজাজ, স্বাস্থ্য এবং আরও অনেক কিছু। অতএব, পুরুষরা সর্বদা যৌনতার জন্য প্রস্তুত থাকে এই মানসিকতা এড়ানো উচিত।

মানসিক চাপ তাদের কর্মক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে

যদি মাঝে মাঝে আপনার সঙ্গী যৌনতার প্রতি খুব বেশি আগ্রহ দেখান না অথবা তার যৌন কর্মক্ষমতা আপনার কাছে কিছুটা অদ্ভুত মনে হয়, তাহলে এর অর্থ এই নয় যে তিনি আপনার প্রতি বিরক্ত। আসলে, অনেক সময় মানসিক চাপ তাদের কর্মক্ষমতাকেও প্রভাবিত করতে পারে। অফিসের টেনশন, ঋণের কিস্তি অথবা আবেগগত বোঝা; তার মনে শত শত জিনিস ঘুরপাক খাচ্ছে, যেগুলোর ভুল ব্যাখ্যা করা আপনার এড়িয়ে চলা উচিত।

প্রতিটি পুরুষ সঙ্গী তার মনের কথা খোলাখুলি বলতে পারে না।

প্রায়শই পুরুষদের একই চিত্র আমাদের মনে থেকে যায়, যেখানে তারা তাদের যৌন আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে খুব খোলামেলাভাবে কথা বলে। মহিলাদের সাথে তুলনা করলেও এটি সত্য। কিন্তু সব পুরুষই তার অনুভূতি প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। তারাও ভয় এবং দ্বিধায় তাদের অনেক ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারে না। যদি আপনার সঙ্গীর স্বভাবও এইরকম হয়, তাহলে তাকে আরামদায়ক করে তার দ্বিধা দূর করতে পারেন।

পুরুষরাও তাদের শরীর এবং চেহারা নিয়ে অনিরাপদ।

মেয়েরা যেমন প্রায়শই তাদের শরীর এবং চেহারা নিয়ে অনিরাপদ থাকে, পুরুষদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। অনেক সময় পুরুষদের মধ্যে হীনমন্যতা দেখা দেয়, বিশেষ করে তাদের আকার, সহনশীলতা, চেহারা এবং শরীর নিয়ে। প্রাপ্তবয়স্কদের চলচ্চিত্র তাদের মধ্যে এই ধরণের নিরাপত্তাহীনতা তৈরিতে বড় ভূমিকা পালন করে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার সমর্থন এবং বিচারহীন মনোভাব তাদের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করাতে পারে।

পুরুষদেরও মেজাজের পরিবর্তন হয়

হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে মেয়েদের মেজাজের অনেক পরিবর্তন হয়, কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। আসলে, পুরুষদের মধ্যেও টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়তে থাকে এবং কমতে থাকে, যা তাদের মেজাজের উপর অনেক প্রভাব ফেলে। এই কারণে, কখনও কখনও তারা আবেগগতভাবে দুর্বল বোধ করতে শুরু করে অথবা তাদের শক্তির স্তর কমে যায়। যদি আপনার সঙ্গীর সাথেও এটি ঘটে, তাহলে আপনাকে তাদের সমর্থন হতে হবে। ভাবো না যে সে আর তোমাকে আগের মতো ভালোবাসে না।

পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।