গরমে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। শরীরের আর্দ্রতা কমে আসে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে নানান রোগ। এই সময় যাদের কোলেস্টেরল রয়েছে তাদের বেশি করে সাবধান হতে হয়। কারণ গরমে কোলেস্টেরল বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
হাই-কোলেস্টেরল হৃদরোগ, হিট স্ট্রোক, স্ট্রোক, ডায়াবিটিসের মতো রোগ স্বাস্থ্যের সমস্যা তৈরি করে। কম পরিমাণে খাওয়ার পরও হু হু করে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরল। যাদের হাই-কোলেস্টেরল রয়েছে এই গরমে আরও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া উচিত। তবে এই বিষয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে কোলেস্ট্রেরলের মাত্রা সহজে কমানো যায়। জানুন সেক্ষেত্রে কী কী খাবেন।
গরমে রোজ পাতে সে সব খাবার রাখুন যা শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখে। সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এমন অনেক সবজি ও ফল রয়েছে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ওষুধের মতো কাজ করে। সেইগুলি হল--
তরমুজ
তরমুজ শুধু খেতেই ভালো নয়, কোলেস্ট্রেরল নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। আবার তরমুজ খেলে পেট থাকে ঠান্ডা। এর মধ্যে থাকা লাইকোপেন উপাদান কোলেস্ট্রেরলের মাত্রা বাড়তে দেয় না। গরমে এক গ্লাস তরমুজের শরবত নিয়মিত খান।
শশা
গরমে যে সমস্যাটি বেশি হয় তা হল ডি-হাইড্রেশন। কম জল পান করার জন্য এমন হয়ে থাকে। এই সময় শরীরকে সুস্থ রাখতে পারে একমাত্র শশা। শরীরকে হাই-ড্রেশন রাখতে শশা খুবই উপকারী। এর মধ্যে থাকা ফাইটোস্টেরলস নামক উপাদান, কোলেস্টেরলের সঙ্গে ফাইট করে। এছাড়া শশার ফাইবারের উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। তাই ব্যাগে একটা শশা অবশ্যই রাখুন।
ঢ্যাঁড়শ
এই সবজির নাম শুনলেই নাক সিঁটকে ওঠে। অথচ ঢ্যাঁড়শের মতো উপকারী সবজি খুবই কম আছে। ঢ্যাঁড়শে আছে ভিটামিন সি, ১২, বি ২, এবং এ। যাদের হাই কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে, রোজের পাতে ঢ্যাঁড়শ রাখতে পারেন। শুধু কোলেস্টেরল কমাতে নয় ওজন কমাতে, পেট ঠান্ডা রাখতে ঢ্যাঁড়শ খুবই উপকারী।
মটরশুঁটি
মটরশুঁটি ফাইবারের উৎস। এটি আপনার হার্টকে সুস্থ রাখে, সঙ্গে কমিয়ে দেয় কোলেস্টেরলের মাত্রাকেও। তাই আজই আপনার ডায়েটে যোগ করুন ফাইবার যুক্ত খাবার।
এই সমস্ত খাবারগুলি নিয়মিত খান, কিছুদিনের মধ্যেই আপনার শরীর তার প্রভাব বুঝতে পারবে। গাদা গাদা ওষুধ না খেয়েও এই খাবারগুলির উপর আপনি ভরসা করতে পারেন।