কথায় বলে পুরনো চাল ভাতে বাড়ে, পুরনো প্রেমও যেন খানিক তাই! সাঁইত্রিশ বছরের এক যুবক বিয়ে করলেন তাঁর ৭০ বছর বয়সী প্রেমিকাকে। কে সাহায্য করেছে তাঁদের জানেন? সেই যুবকের স্ত্রী নিজে! তাই তো বলে প্রেম বড়ই গন্ডগোলের বিষয়। সহজে ধরা যায় না। আর বর্তমানে এ হেন প্রেমকাহিনির চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সাঁইত্রিশ বছরের যে যুবকের কথা বলা হচ্ছিল তাঁর নাম হচ্ছে ইফতিকার। অল্প বয়সেই তিনি প্রেমে পড়েন পঁয়ত্রিশ বছরের কিসওয়ার বিবির। বাড়িতে এই প্রেমের কথা জানালে সেটা স্বাভাবিক ভাবেই কেউ মানেনি। সম্মতি দেয়নি বিয়েতেও। তবে ইফতিকার জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি হয় কিসওয়ার বিবিকে বিয়ে করবেন, নয়তো কাউকে নয়।
এরপর তাঁরা লুকিয়ে দেখা করতেন। কিন্তু একটা সময়ের পর তাঁদের দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ হয়ে যায়। সময় পেরোতে থাকে। ইফতিকার বাড়ির পছন্দ করা মেয়েকে বিয়েও করেন। তাঁদের ছয় সন্তান হয়। কিন্তু এতসবের মাঝেও তিনি কিছুতেই পুরনো প্রেমিকাকে ভুলতে পারেন না। শত হলেও প্রথম প্রেম তো! তাই তো বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরেও লুকিয়ে দেখা করতেন কিসওয়ারের সঙ্গে। সময়ও কাটাতেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই দুজনের বয়স বেড়েছে। কিসওয়ারের চুলে পাক ধরে গিয়েছে, কিন্তু প্রেমে ভাঁটা পড়েনি তাঁদের।
দুজনেই যেখানে পণ করে রেখেছিলেন একে অন্যকে বিয়ে করবেন সেখানে সেই বিয়ে আটকায় কার হিম্মত! তাই তো এত কিছুর পরেও তাঁরা এক হলেন। ইফতিকারের বিয়ে হলেও কিসওয়ার আর বিয়ে করেননি। দুজনেই নিয়মিত দেখা করতে থাকেন। আর সেই কথা কারও জানতে বাকি ছিল না। এমনকি ইফতিকারের স্ত্রীরও না। এরপরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে স্বামীর ইচ্ছা পূরণ করবেন তিনি। অবশেষে নিজের স্বামীর বিয়ে দিলেন তাঁরই সত্তর বছর বয়সী প্রেমিকা কিসওয়ারের সঙ্গে। এই ঘটনাটি পাকিস্তানের।
এতদিনে পুরনো প্রেম এভাবে পরিণতি পাবে যে সেটা কেউই ভাবেননি, এমনকি কিসওয়ার নিজেও না। আসলে যে প্রেমের এত টান সেটা পূর্ণতা পেতই। আর তাতেই অনুঘটকের কাজ করলেন ইফতিকারের স্ত্রী। কিসওয়ারকে নিয়ে করার পর ইফতিকার জানিয়েছেন তিনি তাঁর দুই স্ত্রীকে নিয়েই একসঙ্গে থাকতে চান।