মাথা ও ঘাড়ের কোষগুলি অস্বাভাবিক হারে যখন বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে যখন দূষিত রক্ত লসিকা সংবহনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে দেহের অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতিসাধন করে তখনই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
এমনটা নয় যে, ঘাড় ফুলে গেলে বা মাথার যন্ত্রণা হলেই সেটা ক্যানসারের লক্ষণ! কিন্তু এই যন্ত্রণা যদি অনেকদিন ধরেই থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এটা আদতে ঘাড় বা মাথার যন্ত্রণা দিয়েই শুরু হয়।
কেন হয় মাথা ঘাড়ের ক্যানসার?
অতিরিক্ত ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান, মাথা ও ঘাড়ের ক্যানসারের অন্যতম কারণ। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আমূল উন্নতির জন্য আবিষ্কৃত হয়েছে এমন এক থেরাপির যা অতি সহজেই হেড ও নেক ক্যানসারের ঝুঁকি থেকে আপনাকে বাঁচিয়ে দেবে। ক্যানসার হল এমন এক মারণ রোগ যা শিশু সহ বৃদ্ধ কাউকেই ছাড়ে না। সেই ভাবে ওষধ না থাকার ফলে ঢলে পড়তে হয় মৃত্যুর মুখে। কিন্তু আর ভয়ের কারণ নেই এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আবিষ্কার হয়েছে এমন এক থেরাপির যা সহজেই এই মারণ রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেবে।
ইমিউনোথেরাপি, এটি এমন এক থেরাপি যা আপনার শরীরের ক্যানসারের কোষগুলিকে নষ্ট করে দেয়। ইমিউনোথেরাপি হল একটি জৈবিক থেরাপি। টিউমার হলে তার চারপাশে বাড়তে থাকে অনাক্রম্যতার কোষ। এই থেরাপি সেই কোষগুলিকে ধ্বংস করে দেয়।
টেলোমেরেজ রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্টেস (টিইআরটি) হল একটি অ্যান্টিজেন। যার প্রায় ৮৫% টিউমার কোষে প্রচুর পরিমাণে তৈরি হয়। অ্যান্টিজেন হল টক্সিন বা অন্যান্য পদার্থ যা সেই পদার্থের বিরুদ্ধে ইমিউন শক্তি বাড়ায়।
ইউসি সান দিয়েগো স্কুল অফ মেডিসিনের অধ্যাপক, সহ-সিনিয়র লেখক হান্না কার্টার, 'আমাদের ডেটা ক্যানসার জিনোম অ্যাটলাসের লক্ষ্য পূরণ করেছে'। আমাদের শরীরে থাকা ‘বি’ কোষ যার কাজ হল ব্যাকটিরিয়া, ও ভাইরাস থেকে অ্যান্টিবডি তৈরি করা। আর ‘টি’ কোষের কাজ হল ইমিউন কোষগুলিকে নষ্ট করা।
বিশেজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় ৬৬,০০০ মানুষ হেড ও নেক ক্যানসারের শিকার হয়। রোগ নির্ণয়ের এক বছরের মধ্যেই ৬০% রোগীর মৃত্যু হয়। তবে তাদের ধারণা এই হার কিছুটা হলেও কমবে ইমিউনোথেরাপির জন্যে।