ক্রমশ বাড়ছে ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। খাদ্যাভ্যাসের সমস্যা, মানসিক চাপের মতো নানা কারণে সারা পৃথিবী জুড়েই এই সমস্যা বাড়ছে। কিন্তু ডায়াবিটিস নিয়ে সবচেয়ে সমস্যার বিষয় হল, চট করে এই রোগ বোঝা যায় না। অনেকের ক্ষেত্রেই প্রাথমিক অবস্থায় এ কোনও লক্ষণ ধরা পড়ে না। অনেক পরে এই রোগের চিহ্নগুলো ধরা পড়তে শুরু করে। তত দিন শরীরের নানা অঙ্গের ক্ষতি হতে শুরু হয়েছে।
কিন্তু ডায়াবিটিসও গোড়াতেই ধরা সম্ভব। কতগুলো প্রাথমিক লক্ষণ দেখলেই সাবধান হতে হবে। রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। তেমনই বলছেন চিকিৎসকরা। এর মধ্যে একেবারে প্রথমেই রয়েছে কয়েকটি সংক্রমণ। ডায়াবিটিস হলে নানা ধরের সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে বা কয়েকটি সংক্রমণ সহজে সারতে চায় না। এই লক্ষণগুলো দেখলেই বুঝতে হবে, রক্তে শর্করা বেড়ে গিয়ে থাকতে পারে। তখন পরামর্শ নিতে হবে চিকিৎসকের।
কোন তিনটি সংক্রমণ দেখলে বা সেগুলো সহজে না সারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন:
- ইস্ট সংক্রমণ: অনেকেরই ত্বকে ইস্ট সংক্রমণ হয়। বিশেষ করে বগল, আঙুলের ফাঁক বা কুঁছকি এলাকায় এই ধরনের সংক্রমণ বেশি মাত্রায় হয়। এতে ছাতা পড়ার মতো সাদা দাগ হয় ত্বকের উপর। শরীরের যে সব এলাকায় ঘাম হয়, সেখানেই এই সংক্রমণ বেশি হয়। বেশির ভাগ মানুষেরই এই ধরনের সংক্রমণ নিজে থেকেই সেরে যায়। কিন্তু যাঁরা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত তাঁদের এই সংক্রমণ সহজে সারতে চায় না। তাই এমন কিছু হই সাবধান হতে হবে।
- মূত্রনালীর সংক্রমণ: ডায়াবিটিস মূত্রনালীর সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, তাঁদের ঘনঘন মূত্রত্যাগ করতে হয়। কারণ তাঁদের মূত্রনালী, মূত্রথলি এলাকার পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে ফলে ওই এলাকায় ব্যথা হয়। শুধু এগুলিই নয়, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে মূত্রত্যাগের সময়ে জ্বালা হতে পারে। তাছাড়াও মূত্রে দুর্গন্ধও হতে পারে। এমন লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে।
- পায়ের পাতায় ঘা: ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ ডায়াবিটিস আক্রান্তেরই পায়ের পাতায় ঘা হয়। সেই ঘা চট করে সারতেও চায় না। অ্যান্টিবায়োটিকের চিকিৎসায় এগুলি কমতে পারে। কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সমস্যা আবার ফিরে আসে। তাই নিয়মিত পায়ের পাতায় ঘা হলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়েছে বলে ভাবতে পারেন। তেমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে।