২০২৩ সালে, বিভিন্ন কারণে ১৮১টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে ভারতে। এই বছরেও জাতীয় পশুর মৃত্যু মিছিল থামেনি। ২০২৪ সালের প্রথম ১০৩ দিনের মধ্যেই ৪৭টি বাঘ হারিয়েছে ভারত। সুপ্রিম কোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি (এনটিসিএ)।
আরও পড়ুন: (Neuralink Patient: ব্রেনে চিপ বসিয়ে দ্বিতীয়বারও সফল মাস্ক! রোগী সুস্থ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই)
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এই বছরের এক জানুয়ারি থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে ৪৭টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একটি বাঘ মধ্যপ্রদেশ এবং ১১টি মহারাষ্ট্রে মারা গিয়েছে। কর্ণাটকে ছয়টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে, আর উত্তরপ্রদেশে তিনটি বাঘ মারা গিয়েছে। রাজস্থান, কেরালা, তেলেঙ্গানা এবং উত্তরাখণ্ডে যথাক্রমে দু' টি করে বাঘের মৃত্যু হয়েছে। ছত্তিশগড় ও ওড়িশায় একটি করে বাঘের মৃত্যু হয়েছে।
এনটিসিএ উল্লেখ করেছে যে এই ৪৭টি বাঘের মৃত্যুর কারণ এখনও তদন্ত করা হচ্ছে। বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চের কাছে এমনটাই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে এদিন। বাঘের জনসংখ্যা রক্ষা করার জন্য এনটিসিএর পরামর্শ অনুসরণ করে ভারত জুড়ে রাজ্যগুলি কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। এদিন রিপোর্ট পেশ করার সময় এ প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বরিয়া ভাটি।
আরও পড়ুন: (Viral: মোমো এবং ডিম সামের মধ্যে পার্থক্য কী? মজার উত্তর দিয়ে ভাইরাল দিল্লির ব্যক্তি)
গত বছরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাঘ মারা গিয়েছে মহারাষ্ট্রে
জানা গিয়েছে, গত বছর, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে সর্বাধিক সংখ্যক বাঘের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ১৮১টি মৃত বাঘের মধ্যে, ৪৩টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে মধ্যপ্রদেশে। মহারাষ্ট্রে মারা গিয়েছে ৪৫টি বাঘ।গত বছর উত্তরাখন্ড রাজ্যে মারা গিয়েছে ২১টি বাঘ। তামিলনাড়ুতে ১৫টি, কেরালায় ১৪টি, কর্ণাটকে ১২টি এবং আসামে ১০টি বাঘের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ১৮১টি বাঘের মধ্যে মাত্র ৪৪টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে প্রাকৃতিক কারণে। ৯টি বাঘ শিকারের কারণে মৃত্যু ঘটেছে। সাতটি বাঘ আবার অজানা কারণে মারা গিয়েছে। ছয়টি বাঘ অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছে। আর বাকি ১১৫টি বাঘের মৃত্যুর কারণ এখনও তদন্ত করা হচ্ছে।