আধুনিক ফ্যাশনের অঙ্গ হিসেবে প্রায়ই নতুনধরনের পোশাক আমাদের ওয়াড্রোবে জায়গা করে নিচ্ছে। এর মধ্যে খুব পরিচিত হল আঁটোসাঁটো জিন্স। আরামদায়ক ও স্টাইলিশ হওয়ায় এটিই এখন ফ্যাশনে ইন। এছাড়া অন্যান্য প্যান্টের তুলনায় এটি বেশ টেকসই। নারী ও পুরুষ উভয়েরই পছন্দ এই পোশাক। তবে সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে আসছে অন্যরকম তথ্য। স্টাইলিশ হলেও দীর্ঘক্ষণ আঁটোসাঁটো জিন্স পরে থাকার ফলে দেখা দিতে পারে নানারকম সমস্যা। এগুলো কিছুক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাও তৈরি করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতামত, দীর্ঘদিন ধরে আঁটোসাঁটো জিন্স পরলে নারী ও পুরুষ উভয়ের যৌনজীবনেই নানারকম জটিলতা তৈরি হতে পারে। এই প্রতিবেদনে থাকছে সেগুলোরই বিস্তারিত হদিশ।
১. তলপেটের সমস্যা: দীর্ঘক্ষণ আঁটোসাঁটো জিন্স পরে থাকলে তলপেটের পেশিগুলো সংকুচিত অবস্থায় থাকে। এর ফলে পেশির স্বাভাবিক সংকোচন ও প্রসারণ ব্যাহত হয়। পেশির স্বাভাবিক চলন ব্যাহত হলে বসা বা দাঁড়ানোর সময় পেশিতে টান লেগে ব্যথা হতে পারে। অনেকক্ষেত্রে এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ীও হয়।
২. স্নায়ুর কাজ ব্যাহত হওয়া: জিন্স আঁটোসাঁটো হওয়ায় কোমর ও উরু অঞ্চলের স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে। দীর্ঘক্ষণ এই জিন্স পরে থাকার ফলে স্নায়ুর স্বাভাবিক সাড়া কমে যায়। প্রথম প্রথম খুব অসুবিধা না হলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্যাটি গুরুতর আকার ধারণ করে।
৩. সংক্রমণের আশঙ্কা: আঁটোসাঁটো জিন্স পরলে প্যান্টের ভিতর ঠিকভাবে হাওয়া চলাচল করতে পারে না। এতে যৌনাঙ্গ ও কুচকির আশপাশ ঘেমে যায়। দীর্ঘক্ষণ ঘাম জমে এই অঙ্গগুলিতে ছত্রাকের সংক্রমণ দেখা দেয়। ঈস্ট জাতীয় ছত্রাকের সংক্রমণের ফলে নানারকম চর্মরোগ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নারীদের ক্ষেত্রে প্রস্রাবেও এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
৪. রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়া: এই ধরনের জিন্স পেশিকে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি সংকুচিত করে। এর ফলে কোমর, উরু ও কুঁচকি এলাকায় স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। দীর্ঘক্ষণ রক্ত চলাচল বন্ধ থাকলে রক্ত জমাট বেঁধে জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। যারা দিনে দশ ঘন্টার বেশি জিন্স পরে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও গুরুতর হয়।
৫. প্রজননের জটিলতা: বেশকিছু সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, দীর্ঘক্ষণ আঁটোসাঁটো জিন্স পরে থাকার ফলে শুক্রথলির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে যায়। এতে শুক্রথলিতে শুক্রাণু উৎপাদন ব্যাহত হয়। এর ফলে প্রজননের ক্ষমতা কমে যেতে পারে। একইসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের দাবি, যৌনাঙ্গে ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়।