আর পাঁচটা তরুণীর মতো তিনিও ছিলেন প্রাণবন্ত। রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ভিডিয়ো বানাতে ভীষণ পছন্দ করতেন তিনি। জীবনের প্রত্যেকটি সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করতে চাইতেন তিনি। কিন্তু জীবনের শেষ মুহূর্তটাও যে এইভাবে ক্যামেরাবন্দী হয়ে যাবে তা হয়তো তিনি নিজেও কোনওদিন বুঝতে পারেননি।
ঘটনাটি ঘটেছে জর্জিয়ার রাজধানী তিবলিসির রাস্তায়। টিকটক তারকা আরিনা গ্লাজুনোভা বন্ধুর সঙ্গে যাচ্ছিলেন রাস্তা দিয়ে।বন্ধুদের সাথে হাসতে হাসতে কথা বলছিলেন এবং ভিডিয়ো বানাচ্ছিলেন। কিন্তু আচমকাই রাস্তায় খোলা সাবওয়ের মধ্যে পড়ে যান বছর ২৭- এর আরিনা। গোটা ঘটনাই ক্যামেরা বন্দী হয়ে যায়।
(আরও পড়ুন: কোন রীতিতে বোধন হয় দেবী দুর্গার? জানুন মহাষষ্ঠীর পূণ্য নিয়ম)
দুর্ঘটনার সময় আরিনার সঙ্গে ছিলেন আরও বেশ কয়েকজন বন্ধু। হঠাৎ করে আরিনাকে পড়ে যেতে দেখে এক বন্ধু চিৎকার করে ওঠেন। আরিনার হাতে মোবাইলও ছিটকে পড়ে যায় দূরে। গোটা ব্যাপারটাই দেখা যায় ভিডিয়োয়।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দুর্ঘটনার পর ওই তরুণীকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু সাবওয়ের মধ্যে পড়ে যাওয়ায় মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে ওই তরুণীর। ঘাড়ও ভেঙে যায় তাঁর। দুর্ভাগ্যজনকভাবে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় আরিনার। আরিনার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকোস্তব্ধ পরিবার-পরিজন সকলেই।
(আরও পড়ুন: ছোট্ট ‘দুর্গা’দের নিয়ে একদিনের প্যান্ডেল হপিং! উডল্যান্ডসের অভিনব উদ্যোগ)
যে স্থানে আরিনার মৃত্যু হয়, পরবর্তী সময়ে সেখানেই তাঁর প্রতিশ্রদ্ধা জানানোর ব্যবস্থা করা হয়। জর্জিয়ার রাজধানী তিবলিসির রাস্তায় এইভাবে সাবওয়ের মুখ খোলা থাকায় প্রশাসনের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাতের বেলা এমনিতেই কিছু দেখা যায় না, তার মধ্যে যদি এইভাবেই সাবওয়ের মুখ খোলা থাকে, তাহলে তো দুর্ঘটনা অনিবার্য।