গায়ের রং কালো বা ফর্সা-- তা নিয়ে মাথা ব্যথার সময় এটা আর নয়। আজকাল খুব কম মেয়েই আছেন নিজের ‘কালো’ রং ‘ফর্সা’ করার পিছনে সময় নষ্ট করেন। তবে জানেন কি, শ্যামলা রং ধরে রাখার জন্য পাগল পৃথিবীর অনেক নারীরাই। তাঁরা মনে করে, ফর্সা নয় একটু চাঁপা গায়ের রং-ই বেশি আকর্ষণ করে মানুষকে। তাই গায়ের রং শ্যামবর্ণ হলেও একটু দেখভাল করুন নিজের। যাতে ত্বকের চকচকে ভাব বজায় থকে। ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল থাকে ও সতেজ দেখায়।
জানেন তো, শ্যামলা ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয় অনেক দেরিতে। কিন্তু ব্রণ বা রোদের কারণে সানবার্ন হয় খুব জলদি। ত্বকের রং যেরকমই হোক, তা শুষ্ক দেখালে চলবে না। খুব করে জল খান। প্রতিদিন নিয়ম মেনে ক্লিনজিং-টোনিং-ময়েশ্চারাইজিং করুন। সপ্তাহে একবার স্ক্রাব করতে পারলে ভালো। কারণ, এই ধরনের ত্বকে আর্দ্রতায় ঘাটতি পড়লে তা খুব তাড়াতাড়ি বোঝা যায় – কারণ ত্বকে সাদা সাদা দাগ পড়ে সে ক্ষেত্রে।
সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করুন। ভারতীয় আবহাওয়ায় SPF ৪০ থেকে ৫০-র মধ্যে ব্যবহার করতে পারলে ভালো। এবং ৪-৫ ঘণ্টার বেশি রোদে থাকলে আরও একবার সানস্ক্রিন মেখে নিন। বাড়ি ফিরে ঠান্ডা জলে মুখ দেবেন। এতে সারাদিন রোদে পোড়া ত্বক, অনেকটাই আরাম পাবে।
ত্বক চর্চায় ঘরোয়া নানা জিনিস ব্যবহার করতে পরেন। এসেনশিয়াল অয়েল ও নারকেল তেল খুব ভালো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এতে ত্বকে একটা চকচকে ভাব আসবে। যাঁরা কাঁচা হলুদ ব্যবহার করেন, তাঁরা মনে রাখবেন যে শ্যামলা ত্বকে কিন্তু হলুদের ছোপ স্পষ্ট চোখে পড়ে – উলটোদিকে যাঁরা ফরসা, তাঁদের উজ্জ্বলতা আরও বেড়ে যায়। তাই হলুদ এড়িয়ে গেলে ভালো করবেন। বাজার চলতি ফরসা হওয়ার ক্রিম ব্যবহার করবেন না দয়া করে। তার চেয়ে দুধের সর, মুলতানি মাটি, পাকা পেপে দিয়ে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন ফেসপ্যাক। রোদে পোড়া দাগ দূর করতে দই ব্যবহার করতে পারেন।