ইংরাজিতে একটি কথা প্রচলিত আছে, 'হেয়ার ইজ এভরিথিং'। বাংলায় বলি মানুষের সৌন্দর্য চুলেই। সেই চুলের যত্ন নিতে মানুষ নানাভাবে তৎপর হয়ে ওঠে। অনেকে পরামর্শ দেন ঘন ঘন চুল কাটার, কেউ কেউ আবার বলেন, বারবার চুল কাটলেই চুলের বৃদ্ধি ভালো হয়। এতরকম পরামর্শের বাজারে কোনটি গ্রহণ করলে প্রকৃতঅর্থে উপকৃত হবেন? আসুন জেনে নিই সঠিক পদ্ধতিটি।
আমাদের ব্যস্ত জীবনে এখন চুলের যত্ন নেওয়ার সময় প্রায় নেই বললেই চলে। এসবের মধ্যে হাতে যতটুকু সময়ে মেলে তা নষ্ট করলে চলে না। চুলের ধরন, বৃদ্ধি পাওয়া এবং জীবনযাত্রার ওপর নির্ভর করে চুল কতদিন পরপর কাটা উচিত। অনেকেরই দ্রুত আগা ফেটে যায়। তাই চুল কাটতে হয় কিছুদিন পর পরই। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে তার উল্টো।
আরও পড়ুন - KBC-16: 'ময়েশ্চারাইজার লাগাই না, ছোট থেকেই শুধু সর্ষের তেল মাখি', কিশোরী প্রতিযোগীকে বললেন অমিতাভ
চুলের মাপ ছোট হলে চুল বাড়া অব্দি অপেক্ষা করুন এবং ৪-৬ সপ্তাহের মাঝে চুল কেটে ফেলতে পারেন।
চুল লম্বা রাখলে ভেঙে যাওয়া, চুল পড়া এবং চুলের মাথা ফেটে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। সেজন্য যারা চুল লম্বা রাখতে পছন্দ করেন তাদের ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে চুল কাটা উচত। তবে চুল মজবুত, ঘন ও স্বাস্থ্যকর রাখতে প্রতি ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে কাটতে পারেন।
রুক্ষ চুল ঘন ঘন কাটা প্রয়োজন—সাধারণ নিয়ম হিসেবে, ফেটে যাওয়া চুল কমাতে প্রতি ছয় সপ্তাহে ছাঁটাই করা উচিত। আপনি যদি প্রতিদিন হিট স্টাইলিং টুল ব্যবহার করেন, নিয়মিত চুল রঙ করেন, অথবা পার্মের মতো রাসায়নিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন, তাহলে আপনার চুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি (AAD) বলছে, পনিটেলে চুল শক্ত করে টেনে ধরা, বুনন বা এক্সটেনশন পরা , অথবা তোয়ালে দিয়ে ভেজা চুল ঘষা, যা ক্ষতির কারণ হতে পারে।
চুল কাটার সময় এসেছে কীভাবে বুঝবেন -
১। বিভক্ত চুল
২। শুষ্ক এবং ভঙ্গুর চুল
৩। মসৃনতার অভাব
৪। আকৃতি বা স্টাইল নষ্ট হওয়া
৫। ভলিউমের অভাব
পরিশেষে, চুল কাটার সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করতে পারে। যদি আপনার মনে হয় আপনার চুল খুব বেশি লম্বা হয়ে গেছে বা নতুন করে সাজানোর প্রয়োজন, তাহলে চুল কাটার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন।