যে কোনও শারীরিক ব্যাধি কাটাতে অন্যতম উপকারী উপায় হল মেডিটেশন বা যোগভ্যাস। যোগ ব্যায়ামের হাত ধরে অনেকেরই বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিমেষে কেটে গিয়েছে। তবে সহজে এই যোগ ব্যায়াম বা মেডিটেশনের ফল পাওয়া যায় না। মেডিটেশন করার ক্ষেত্রে বেশ কয়েক ধরনের পন্থা অবলম্বনের প্রয়োজন পড়ে। শুধু যে বিশেষ বসার ভঙ্গির প্রয়োজন হয় এই মেডিটেশনে তা নয়। সঙ্গে মানসিক শান্তি ও আধ্যাত্মিক স্থিরতাও থাকা প্রয়োজন বলে মনে করা হয়। অ্যাংজাইটি সহ একাধিক শারীরিক জটিলতা থেকে ত্রাণ পেতে এই মেডিটেশন প্রয়োজন। তবে আপনি যদি সবেমাত্র মেডিটেশন শুরু করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই অবলম্বন করুন এই সহজ ৭ টি উপায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে সহজে পেতে পারেন মেডিটেশনের আসল উপকার।
এই বিশেষ জায়গা প্রয়োজন
যেখানে সেখানে যখন তখন মেডিটেশন করলে তার লাভ পাওয়া যায় না। বাড়ির মধ্যে যে জায়গাটি সবচেয়ে নিরিবিলি সেখানে বসে মেডিটেশন করা প্রয়োজন।
নির্দিষ্ট সময়
মেডিটেশন শুরুর আগে প্রথমেই মনে হতে পারে, যে কতক্ষণ এই মেডিটেশন করলে, তার সুফল পাওয়া যেতে পারে? জবাব হল, প্রথমের দিকে স্থির করে নিতে হবে কতটা সময় ধরে মেডিটেশন করা উচিত। প্রথমে শুরুর দিকে ৫ থেকে ১০ মিনিট এটি করা যেতে পারে।
শরীরকে নজরে রেখে..
মেডিটেশন করার ক্ষেত্রে কোথায় বসে তা করা উচিত, তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি যেখানে বসে খুবই স্বচ্ছ্বন্দ সেখানে বসে মেডিটেট করুন। দেখতে হবে আপনার হাত ,পা যেন এই বসার ভঙ্গিতে অনেকটাই স্বস্তিতে থাকে।
কী কী করণীয়?
শ্বাস গ্রহণের সময় আপনার শ্বাসের সংবেদন অনুসরণ করুন যখন এটি ভিতরে যায় এবং এটি বের হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেডিটেশের সময় মানসিক স্থিতি এমন হবে, যাতে মন অন্য কোনও জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারে। শরীর, সাম্প্রতিক অবস্থা, সব ছাড়িয়ে মনকে ছড়িয়ে যেতে দিতে হবে।
ওঠার সময়..
মেডিটেশন শেষ হলে ধরফড় করে ওঠার প্রয়োজন নেই। ধীরে ধীরে একটি অবস্থা থেকে মনকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে তবে মেডিটেশন ছেড়ে ওঠা উচিত।