জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। বড়দেরই তাতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে। কোন গরম জামার ওপর কোন গরম জামা চাপাবেন, তা নিয়েই হিমসিম অনেকে। সেখানে ছোটদের তো কথাই নেই। আর একদম ছোট যারা, মানে সদ্যজাতরা তো বলতেই পারে না, তাদের ঠান্ডা লাগছে, নাকি আরাম হচ্ছে।
তাই এই সময়ে সদ্যজাতদের দরকার বিশেষ যত্নের। কীভাবে এই শীতে আপনার ছোট্ট সোনার যত্ন নেবেন? এ বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে পরামর্শ দিচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুষমা তোমার।
বিকেলের পর বাইরে নয়:
সদ্যজাতকে রোদে নিয়ে যেতেই পারেন। এই সময়ে সেটা ওর জন্য ভালোই হবে। কিন্তু রোদ ওঠার আগে বা বিকেলের পরে একেবারেই বাইরে নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। যখনই বাইরে নিয়ে যাবেন, সদ্যজাতকে নিজের শরীরের মধ্যে রাখুন। তাতে ওর গায়ের তাপমাত্রা ঠিকঠাক থাকবে। পরামর্শ চিকিৎসকের।
ঘরে যেন বাতাস চলাচল করে:
শীত মানেই শিশুর ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ করে বাতাস চলাচলের সব পথ আটকে দেবেন না। ওর ঘরে যেন বাতাস চলাচল করে। আর দিনের আলোও যেন ঢোকে।
একগাদা গরম জামা নয়:
ওকে কতগুলো গরম জামা পরাবেন, তা চিকিৎসকের থেকে ভালো করে জেনে নিন। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি গরম জামা পরালে হিতে বিপরীত হতে পারে। পেট গরম হয়ে যেতে পারে।
তেল মালিশ করতে পারেন:
শীতকালে শিশুকে তেল মালিশ করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক। হাল্কা উষ্ণ সরষের তেল, অলিভ অয়েল বা অলিভ অয়েল এবং আমন্ড অয়েলের মিশ্রণ দিয়ে মালিশ করতে পারেন। তাতে ওর ভিটামিনের ঘাটতি হবে না। শীতে আরামও লাগবে।
মায়ের দুধের বিকল্প নেই:
চিকিৎসকের থেকে ভালো করে জেনে নিন, এই সময়ে ওকে কী কী খাওয়াবেন। কিন্তু তার বাইরেও সদ্যজাতর জন্য মায়ের দুধের কোনও বিকল্প নেই। ফলে ওকে প্রয়োজন মতো দুধ খাওয়ান। শীতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন:
শীতে শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাটা খুব দরকারি। নোংরা গরম জামা, নোংরা ঢাকা থেকে এই সময়ে ত্বকের তো বটেই গোটা শরীরেই নানা ক্ষতি হয়। ফলে সেদিকে খেয়াল রাখুন।