জামদানি শাড়ি ((Dhakai Jamdani) বাঙালীদের খুবই প্রিয়। যেকোনও উত্সবে বা অনুষ্ঠানে এই শাড়ি পরা যায়। বিয়েবাড়িতেও অনায়াসে পরা যায় এই শাড়ি।ট্রেণ্ডে যতই নতুনত্ব শাড়ি যোগ হোক না কেন, জামদানি শাড়ির প্রতি ভালোবাসা কিন্তু একইরকম আছে। সিল্ক, হাফ সিল্ক বা সুতি… এই তিন ধরনের ফ্যাব্রিকের উপরেই তৈরি হয় জামদানি
পুজো তো এসেই গেল। শেষ মুহূর্তের শপিং-এ তাহলে একটা জামদানি কিনবেন নাকি? কেনার আগে তাহলে কয়েকটি জিনিস লক্ষ্য করেই কিনুন। টাকাও বাঁচবে, জিনিসটিও হবে ঠিকঠাক।
বছরের পর বছর ধরে বাঙালির ঘরে ঘরে চলছে এই শাড়ি। তাই কখনও আউট অফ ট্রেন্ড হয়ে যায়নি এই ঐতিহ্যবাহী শাড়ি। বরং একইভাবে ছোট থেকে বড় সবার কাছে প্রিয়। পুজোর পরেই বিয়ের মরসুম। কম বেশি প্রত্যেকেই একটা হলেও জামদানি কিনবেন।
আরও পড়ুন: (নবরাত্রির প্রথম দিন আজ, পুজো হয় শৈলপুত্রীর, কে তিনি? জানুন সেই কাহিনি)
সকলকে পরামর্শ, নকল জামদানিতে বাজার ছেয়ে যাচ্ছে। কম দামে এই শাড়িকে আরও সহজলভ্য করে তোলার জন্য হাজার হাজার নকল শাড়ি আছে চারিদিকে। তাই কেনার আগে সতর্ক হোন। সস্তার তিন অবস্থা হতে পারে।
আসল ঢাকাই জামদানি একটু দামী হয়। তবে দামী মানেই আসল এমন কোনও কথা নেই। বেশি দাম নিয়ে ক্রেতাকে অনায়াসে ঠকতে হতে পারে। এই শাড়ি হাতে বোনা হয় তাই এর ডিজাইন তাই খুবই নিখুঁত ও সূক্ষ্ম হয়। আসল জামদানি চিনতে হলে এই উপায়কে কাজে লাগাতে পারেন।
তাঁতিরা একটি শাড়ি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বোনেন। তাই সুতো বেরিয়ে থাকে না। জামদানি উল্টো পিঠে বোনা যায় না। সামনের ও পিছনের দিক একইরকম। পার্থক্য করা কঠিন হলেও কেনার সময় এই দিকটি অবশ্যই আপনি খেয়াল রাখুন।
মেশিনে খুবই তাড়াতাড়ি শাড়ি বোনা যেতে পারে। কিন্তু একজন তাঁতি যখন হাতে জামদানি শাড়ি বোনেন, তখন সেই শাড়ি তৈরি করতে অনেকটা সময় লেগে যায়। এক বা দুজন তাঁতি দৈনন্দিন ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা সময় ধরে কাজ করেন। তাই একটি শাড়ি বুনতে কয়েক সপ্তাহ থেকে ৬ মাস পর্যন্তও লেগে যেতে পারে।তাই পারিশ্রমিক হিসাবে এই শাড়ির দাম ধার্য করা হয় একটু বেশি!
একটি শাড়ির দাম ৩০০০ টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আবার এর কমেও আপনি জামদানি শাড়ি পেতে পারেন। যে শাড়িতে যত সুতোর কাজ থাকবে তার দাম তত বেশি হবে।
আরও পড়ুন: (ম্যাথিউ পেরির ড্রাগ ওভারডোজ মৃত্যুতে দোষী সাব্যস্ত এক ডাক্তার, কে তিনি?)
আসলে দুই ধরনের সুতো দিয়ে শাড়ি বোনা হয়। সিল্ক ও সুতির সুতো দিয়ে বোনা হয়। জামদানি শাড়ি কেনার সময় সুতোর মান যাচাই করার প্রয়োজন। একটি জামদানি শাড়িতে কতটা সূক্ষ্ম ও নিখুঁত কাজ থাকবে তা নির্ভর করে তাঁতির দক্ষতার উপরেই। সেই অনুযায়ী শাড়ির দাম ঠিক হয়। সে জন্য খেয়াল করে দেখবেন, যে শাড়িতে সুতোর সূক্ষ্ম কাজ বেশি, তার দাম বেশি।
যে শাড়িতে সুতোর সূক্ষ্ম কাজ কম, তার দাম কম। সুতির উপরে সুতির সুতো দিয়ে কারুকার্য হয়। আবার সিল্কের উপরে সিল্কের সুতো দিয়ে কাজ হয়। জামদানির বিভিন্ন ট্র্যাডিশনাল মোটিফ হয়, সেই মোটিফই ফুটিয়ে তোলা হয় সুতোর কাজে। কেনার সময় এই দিক অবশ্যই লক্ষ্য করুন। নকল জামদানিতে পলিস্টার বা নাইলনের সুতো ব্যবহার করা হতে পারে। সিল্ক বা সুতি ব্যবহার করা হবে না।
খাঁটি হাতে বোনা জামদানি হবে একদম হালকা। পরলে মনে হবে, কোনও ভার অনুভব করবেন না আপনি। কিন্তু মেশিনে বোনা জামদানির ক্ষেত্রে তা হয় না। মেশিনে বোনা শাড়ি তৈরি হয় নাইলন সুতোয় , সেই শাড়ি ভারী হতে পারে। পরলে খসখসে অনুভূতিও হতে পারে। ।