শরীরচর্চা বা ডায়েটের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হল ঘুম। রোজের ঘুম ঠিক না হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। চিকিৎসক রাকেশ রাজ পুরোহিত বলছেন, ঘুম না হলে লেপ্টিন নেমে যায়, আর খিদে বেড়ে যায়। যার ফলে মেদ বেড়ে যাওয়া বা ওবেসিটির মতো সমস্যা হয়। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, এমন বহু প্রমাণ মিলেছে যেখান থেকে বলা যায় যে দিনে অন্তত ৭ ঘণ্টা না ঘুমালে শরীর পর্যাপ্ত স্বাভাবিকতা পায় না। তবে গবেষণা এও বলছে, বেশি ঘুম অর্থাৎ ১০ ঘণ্টার বেশি ঘুম বিএমআই (ওজন বৃদ্ধির সূচক) বেশি থাকে। এরফলে মানসিক রোগের প্রবণতাও বাড়ে।
ওজন কমানো সহ একাধিক উপকারিতা রয়েছে ঘুমে। ফলে রাতে শোবার আগে নিশ্চিত করতে হবে, আরামের ঘুমনোর বিষয়টি। চিকিৎসকরা এই আরামের ঘুমের নানান ধরনের উপায় বলে দিচ্ছেন। জানাচ্ছেন কোন কোন টিপস মেনে চললে রাতে আরামের ঘুম পাওয়া যায়। একনজরে কিছু টিপস-
- ঘুমনোর জন্য প্রয়োজন কোলাহল বিহীন একটি বেডরুম। যে বেডরুম খুবই স্বস্তিদায়ক, ঠান্ডা, আর কম আলো প্রবেশ করে।
-কোনও মন খারাপের চিন্তা বা উদ্বেগ নিয়ে ঘুমোতে যাবেন না। এতে ঘুম আসতে চায় না।
-ঘুমের আগে ইলেকট্রনিক কোনও গেজেট দেখবেন না। কম্পিউটারে কাজ, টেলিভিশন দেখা ঠিক নয় ঘুমের আগে।
-আরামের ঘুম চাইলে কিন্তু ঘুমের আগে সঙ্গম সবসময় আরামের ঘুম দেয় না।
-ঘুমনোর আগেই কিছু খাবেন না। খাবার খানিকবাদে হাঁটাচলা করার পর ঘুমন।
-ঘুমের আগে গান শুনুন, ব্যায়াম বা মেডিটেশন করুন।
-প্রতিদিন একই সময় ঘুমনোর চেষ্টা করুন।
-দুপুরের ঘুম ৩০ মিনিটের বেশি না হওয়াই ভাল। এতে রাতে ঘুমের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়।
-চা বা কফি ঘুমের আগে উচিত নয়। তবে দুধ বা দই জাতীয় খাবার খুবই উপকারী।