সামনেই দুর্গাপুজো, আর তার জন্য সব মেয়েরাই অন্তত একটা হলেও শাড়ি কেনে। কেন? অষ্টমীতে পরার জন্য। সকাল সকাল স্নান করে পাট ভাঙা শাড়ি পরে অঞ্জলি দিতে হবে যে। পাড়ার মোড়ে কিংবা অন্য কোথাও প্রিয় মানুষটাও যে অপেক্ষায় থাকে এই বিশেষ দিনটিতে শাড়ি পরে প্রেমিকাকে কেমন লাগছে সেটা দেখার জন্য। তাই পুজোয় একটা শাড়ি তো কিনতেই হয়। না কিনলেও মায়ের শাড়ি তো আছেই! কিন্তু শাড়ি পরতে ভালোবাসলেও অনেকেই শাড়ি সামলাতে পারেন না। কীভাবে সহজেই শাড়ি সামলাবেন দেখে নিন।
সহজেই যাতে শাড়ি ম্যানেজ করে নিজেকে আরও কনফিডেন্ট এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন তার জন্য সহজ কিছু টিপস দেখে নিন।
*সঠিক কাপড় বেছে নিন। এমন কাপড় বাছুন যা আপনি সহজেই সামলাতে পারবেন এবং আপনাকে মানাবে। এক্ষেত্রে সিল্ক বা শিফন জাতীয় শাড়ি বাছতে পারেন। অন্যথায় কটন, মানে সুতির শাড়িও সহজে সামলানো যায়। এবং একই সঙ্গে আপনাকে আকর্ষণীয় এবং মার্জিত লাগে।
*শাড়ির আঁচল না ছেড়ে বরং প্লিট করে নিন। এতে যেমন আপনাকে অসুবিধায় পড়তে হবে না, তেমনই সহজে সামলাতে পারবেন। একই সঙ্গে কুঁচি যাতে ঠিক জায়গায় থাকে তার জন্য একদম উপরে একটা সেফটিপিন দিয়ে দিন এবং মাঝে আরেকটা সেফটিপিন দিয়ে কুঁচিগুলো আটকে দিন। একে আর কুঁচি সরবে না, খুলে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকবে না।
*রঙ বে রঙের সেফটিপিন ব্যবহার করতে পারেন আঁচল আটকানোর জন্য। এটা যেমন আপনাকে আঁচল আটকাতে সাহায্য করবে তেমনই আলাদা একটা মার্জিত অথচ গর্জিয়াস লুক এনে দেবে।
*শাড়ি পরার আগে থেকেই সেটাকে ভাঁজ করে রাখুন। আগে থেকেই আঁচল এবং কুঁচি প্লিট করে রাখুন। এতে ভাঁজ নষ্ট হবে না, দীর্ঘক্ষণ থাকবে। একই সঙ্গে শাড়ি পড়ার সময় দ্রুত এবং সহজেই শাড়ি পরতে পারবেন।