শরীরকে ফিট ও সুস্থ রাখার বিভিন্ন উপায়ের কথা চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বহুবার বলে থাকেন। উল্লেখ্য, শরীরকে তাজা রাখতে ব্যায়াম করার কথা প্রায় সমস্ত ডায়েটেশিয়ানই বলে থাকেন। এদিকে, শরীরকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে প্রদাহ কমানোর পন্থা ঘিরেও বিভিন্ন চিকিৎসক বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেন। চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, 'অ্যাকিউট' ও 'ক্রনিক' এই দুটি ধরনের 'ইনফ্লেমেশন' দেখা যায়। আর এই দুটি ধরনের ইনফ্লেমেশন থাকলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় ধাক্কা লাগে। যার ফলে সামান্য সংক্রমণই বড় আকার নিতে শুরু করে শরীরে অথবা আঘাত অনেক সময়ই গুরুতর হয়ে যেতে পারে। এই সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে সঠিক ডায়েট। দেখে নিন কোন কোন ধরনের খাবার ডায়েট থেকে বাদ দিলে কমে যায় ইনফ্লেমেশনের সমস্যা।
মিষ্টির দিকে কি তাকাবেন?
ইচ্ছে থাকলেও, সফ্ট ড্রিঙ্ক বা ফ্রুট জুস যেগুলিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি জাতীয় উপাদান থাকে, তা এড়িয়ে চলা ভাল। গোল্ডেন সিরাপ, কর্ন সিরাপ, ফ্র্ুকটোজ জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভাল। এছাড়াও চকোলেট, পেস্ট্রি, সুইট স্ন্যাক্স বুঝে খাওয়া ভাল।
তবে মিষ্টি মুখে তুলবেন না তা কী হয়? এই সমস্ত খাবারের পরিবর্তে মধু, স্টেভিয়া, মেপল সিরাপ খাওয়া যেতেই পারে। এছাড়াও ব্ল্যাকবেরি , ব্লুবেরি বা আপেল খাওয়া খুবই উপকারী।
তেল
তেল বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে বিভিন্ন দিক থেকে ক্ষতিকর। বহু প্রসেসড ফুডে থাকে তেল। পলিআনস্যাচুরেটেড তেল যেমন তুলা, আঙ্গুরের বীজ, কুসুম, ভুট্টা এবং সূর্যমুখী তেল এড়িয়ে চলা ভাল। তবে তার জায়গায় রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। ম্যাকাডেমিয়া অয়েল, আমন্ড অয়েল বা বাদাম তেল।
ট্রান্স ফ্যাট
খুব তেলেভাজা খতে ভালবাসেন কি? তাহলে এই অভ্যাস একটু কাটাতে হবে সুস্থ থাকতে হলে। ফাস্ট ফুড ও ডিপ ফ্রায়েড ফুড একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও কমার্সিয়াল পিনাট বাটারও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। তবে এর জায়গায় বাড়িতে বানানো পিনাট বাটার খাওয়া খুবই কার্যকরী। এই খাবারগুলির জায়গায় হেজেলনাট বা আমন্ড, ওয়ালনাট খাওয়া কার্যকরী ফল দেয়।
দুধ জাতীয় খাবার
বেশি দুধ, মাখন, দই, খাওয়া ঠিক নয়। এছাড়াও ক্রিম সস জাতীয় খাবার অত্যধিক খাওয়া উচিত নয়। সেই জায়গায় নারকেল বা আমন্ডের দুধ সেবন করতে পারেন। এছাড়াও যাঁদের দুধে অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁরা ইয়োগহার্ট খেতে পারেন।
রেড মিট
রেড মিট থেকে দূরে থাকা ভাল। সেক্ষেত্রে বাজরজাত সসেজ বা সালামি শরীরে নতুন করে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই ধরনের মাংস খাওয়ার জন্য সঠিক সাইজ ও মাংসের সঠিক অংশ বেছে নিতে হবে। প্রসেসড মিট কোনও অংশেই স্বাস্থ্যকর নয়। যদি রেড মিটের দিকে না তাকান, তাহলে পালং শাক, মাছ, পোলট্রিজাত প্রোটিন সপ্তাহে খেতেই পারেন। সেক্ষেত্রে এই খাবারগুলি অল্প আঁচে রান্না করতে হবে।
মদ
মদ্যপান শরীরের পক্ষে নানান দিক থেকে ক্ষতি করে। ওয়াইন, বিয়ার থেকে দূরে থাকা স্বাস্থ্যকর। সেই জায়গায়, তেষ্টা মেটাতে জল খাওয়া কার্যকরী ফল দেয়। এছাড়াও ডার্ক চকোলেট, চেরি কার্যকরী ফল দেয়।
রুটি জাতীয় খাবার কি এড়াতে হবে?
ভাত, রুটি, নুডলস পাস্তা, বিস্কিট, পেস্ট্রি থেকে অল্প অল্প করে দূরত্ব বজায় রাখতে পারাটা ভাল অভ্যাস! বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই জায়গায় খুব অল্প দানাশস্য দিয়ে তৈরি সামগ্রী বাজার থেকে কিনতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রেও থাকতে হবে সতর্ক।