Prostate Cancer: মূত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়া প্রস্টেট ক্যানসার চিকিৎসায় নয়া দিশা দিশা দেখাচ্ছে, কী বলছে গবেষণা?

ইউকেতে তাঁরা ৩১৮ জন ক্যানসার রোগীর দেহের মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করে ৬ বছর ধরে পরীক্ষা করেছেন। গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন মূত্রে থাকা সেডিমেন্ট ও প্রস্টেট ক্যানসারের যোগ রয়েছে।

ক্যানসারের চিকিৎসায় আশার আলো। 

চিকিৎসা বিজ্ঞান আজ এগিয়েছে অনেকদূর। সামনে এসেছে বহু প্রযুক্তি, যা চিকিৎসায় চরম সাফল্য দিচ্ছে। তবে তা সত্ত্বেও বেশ কয়েকটি রোগের ক্ষেত্রে মানবসভ্যতা এখনও সমস্যা সমাধানের দিশা খুঁজে চলেছে। এমনই একটি রোগ ক্যানসার। ক্যানসারের মতো মারণ রোগ নিরাময়ে অনন্তর চলেছে গবেষণা। সদ্য প্রস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসা নিয়ে নয়া দিশা দেখাতে শুরু করেছে এক গবেষণা। গবেষণায় বলা হচ্ছে, মূত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সূত্র ধরে এই ক্যানসারের নিরাময় সম্ভব।

গবেষণার বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, প্রস্টেট গ্ল্যান্ড থেকে নিঃসৃত পদার্থ মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে আসছে। আর সেই পদার্থকে বিশ্লেষণ করেই ব্যাকটেরিয়ার তথ্য পেয়েছেন গবেষকরা। মূত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে প্রস্টেট ও প্রস্টেট ক্যানসারের সম্পর্ক খতিয়ে দেখেছেন গবেষকরা। সিনিয়র গবেষক রাশেল হার্স্ট বলছেন, 'পাঁচটি ব্যাকটেরিয়াল জেনেরার সঙ্গে হাইগ্রেড ক্যানসার ও আরও আগ্রাসী প্রস্টেট ক্যানসারের যোগ রয়েছে।' ইউকেতে তাঁরা ৩১৮ জন ক্যানসার রোগীর দেহের মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করে ৬ বছর ধরে পরীক্ষা করেছেন। গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন মূত্রে থাকা সেডিমেন্ট ও প্রস্টেট ক্যানসারের যোগ রয়েছে। যাঁদের প্রস্টেট ক্যানসার রয়েছে, তাঁদের মূত্রে নতুন ৪ ধরনের ব্যাকটেরিয়ার খোঁজ মিলেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। আর ব্যাকটেরিয়াই দিশা দেখাচ্ছে ক্যানসার নিরাময়ে।

এই ব্যাকটেরিয়ার খোঁজ মেলা থেকে দুটি তত্ত্ব বেরিয়ে আসছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। একটি হল, ব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি হচ্ছে প্রদাহ, যা কোষকে ফ্রি ব়্যাডিক্যালের কাছে উন্মুক্ত করছে, যা ডিএনএর ওপর প্রভাব ফেলছে। অন্য তত্ত্বটি হল কিছু ব্যাক্টিরা নিজস্ব টক্সিন বের করে মিউটেশন ঘটাচ্ছে ও কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে। এছাড়াও অন্য প্যাথোজিওনসের তত্ত্বও তুলে ধরেছেন গবেষকরা। বহু চিকিৎসকই এমন আবিষ্কার নিয়ে অত্যন্ত আগ্রহী। তাঁরা মনে করছেন এই তত্ত্ব ও ব্যাকটেরিয়াগুলির সম্পূর্ণ শনাক্তকরণ হলেই প্রস্টেট ক্যানসার নিরাময়ে বড়সড় সাফল্যের রাস্তা তৈরি হবে চিকিৎসার দিক থেকে।