প্রতি বছর নবি হজরত মহম্মদের জন্মদিন উপলক্ষ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ হিজরি বর্ষের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়ালের ১২ তারিখে ইদ মিলাদ-উন-নবি হিসাবে পালন করেন। অনেকে আবার এই দিনটিকে নবি দিবস বলেও ডাকেন। নবির জন্মদিন নামেও এই দিনটি পরিচিত।
নবির জন্মদিন:
ইসলামি ক্যালেন্ডার অনুসারে রবিউল আওয়াল মাসের ১২ তারিখ মক্কায় জন্ম নেন নবি। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের হিসাবে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর জন্ম হয়। এবং ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে মদিনায় তাঁর মৃত্যু।
ইদ মিলাদ-উন-নবির সময়:
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে,ইদ মিলাদ-উন-নবি ভারতে ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় শুরু হয়েছে। এবং পরদিন ৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় শেষ হবে।
কারা পালন করেন ইদ মিলাদ-উন-নবি:
এই উৎসবটি শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মানুষ পালন করেন। সুন্নি মুসলমানরা রবিউল-আউয়াল মাসের ১২ তারিখে এটি পালন করেন। শিয়া মুসলমানরা ১৭ রবিউল-আউয়ালে পালন করে। ইদ মিলাদ-উন-নবি আবার একই সঙ্গে নবির মৃত্যুবার্ষিকী হিসেবেও বিশ্বাস করা হয়। তাই কিছু মুসলমান এই দিনটিকে শোকপ্রকাশের দিন হিসাবেও দেখেন।
ইদ মিলাদ-উন-নবির তাৎপর্য:
ইসলামের শেষ নবি বা বার্তাবাহক ও রাসুল ছিলেন হজরত মহম্মদ। তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি উপায় হল এই দিনটি পালন করা।
ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের মতো দেশ ছাড়াও ইথিয়োপিয়া, তুরস্ক, নাইজিরিয়া, শ্রীলঙ্কা, ফ্রান্স, ইতালির মতো দেশে পালিত হয় এই নবি দিবস।
ইদ মিলাদ-উন-নবি দিনটিতে মুসলমানরা হজরত মুহাম্মদের জীবন ও শিক্ষাকে স্মরণ করেন, কুরান পাঠ করেন এবং গরিব ও দুঃস্থদের নানা জিনিস দান করেন। এদিন প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয় এবং মসজিদ সাজানো হয়। কেউ কেউ এই দিনে রোজাও রাখেন।
ভিন্ন মত:
একদিকে যেমন বিভিন্ন দেশে ইদ মিলাদ-উন-নবি ব্যাপকভাবে পালন করা হয়, তেমনই আবার মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকে বিশ্বাস করেন, এই দিনটির ইসলামী সংস্কৃতিতে কোনও স্থান নেই। সালাফি এবং ওয়াহাবি মুসলমানরা এটিকে পালন করেন না।