আর কত মিথ্যে বলা যায় মিথ্যে বলতে বলতে রীতিমত ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন একজীবন এবং শেষ পর্যন্ত মিথ্যে এড়াতে পুলিশের হাতে ধরা দিলেন তিনি। গত ১৫ বছরের ধরে সত্যিটা চেপে ছিলেন তিনি। অন্যদিকে পুলিশও হদিশ পাচ্ছিল না আসল অপরাধীর। ওই যুবককে সন্দেহ করলেও তার বিরুদ্ধে মিলছিল না যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ। শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে যুবকটি নিজেই ধরা দিল। এতদিন পর হঠাৎ কেন ধরা দিল সে? কারণ জিজ্ঞেস করতেই টনি পেরাল্টা নামের যুবকটি বলে ওঠে মিথ্যে বলতে বলতে রীতিমতো ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল সে। তাই সত্যিটা স্বীকার করে হাঁফ ছাড়ল যেন।
আরও পড়ুন: কীসের লোভে উঁকি? গাড়ির জানলায় বাঘ থাবা কষিয়ে উঠতেই সিঁটিয়ে গেলেন যাত্রীরা
আরও পড়ুন: হঠাৎই গোপনাঙ্গে ব্যথা প্রস্রাবের সময়? কেন হচ্ছে? আসল কারণ কি জানেন
সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে আমেরিকার নিউ মেক্সিকোয়। সেখানেই ৩৭ বছরের যুবক টনি বিড়ালটা পুলিশের জরুরি ফোন নম্বর ৯১১এ ফোন করে। ফোন করে জানায় সেই আসলে খুনি। তার স্বীকারোক্তির ফলে ১৫ বছর ধরে চলতে থাকা একটি নিখোঁজ মামলার কিনারা পায় পুলিশ। ১৫ বছর আগে ২০০৯ সালে নিউ মেক্সিকোর একটি বাড়িওয়ালা উইলিয়াম ব্লজেট নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়ে যান। সেই সময় ওই বাড়িতেই ভাড়া ছিলেন টনি পেরাল্টা। টনিকে উইলিয়াম একবার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতেও গিয়েছিলেন। এমন আভিযোগও করেছিলেন টনি। কিন্তু এর জেরে টনি উইলিয়ামকে কিছু করেছিলেন কিনা সে ব্যাপারে জানা যায়নি। ফলে উইলিয়ামের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এত বছর ধোঁয়াশাতে ছিল পুলিশ। অবশেষে টনিই জানান, তাঁর হাতেই খুন হয়েছে উইলিয়াম।
সম্পতি রোজই অপরাধ বোধ করতেন টনি। এক একটা দিন বেঁচে থাকাটাই তার পক্ষে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই সরাসরি পুলিশের কাছে তিনি স্বীকার করেন, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে উইলিয়াম নিখোঁজ হওয়ার পিছনে তিনিই দায়ী। তিনি সে দিন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। আর তখনই খুন করেন উইলিয়ামকে। ৬৯ বছর বয়সি উইলিয়ামের মৃতদেহ না পাওয়ায় মামলাটি অবশ্য চাপা পড়ে যায়। কিন্তু টনি নিজের অপরাধ ভুলতে পারেননি। তাই ১ মে ৯১১ এ ফোন করে পুলিশকে বাড়িতে ডাকেন তিনি তারপর ঠান্ডা মাথায় সবটা জানিয়ে হাতে হাতটড়া পরে নেন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup