সামনেই শীতের ছুটি। বড়দিন, তার পরেই নতুন বছর। বাতাসে খুশির মেজাজ। এই সময়ে অনেকেই বেড়াতে যেতে চান। কিন্তু বেড়াতে যাওয়ার আগে মাথায় রাখতে হয় অনেক কিছুই।
প্রথমত, শীতকালে এমন কোথাও যাওয়া যাবে না, যেখানে প্রচণ্ড শীত পড়ে। তাই জায়গা নির্বাচন করতে হবে সে সব কথা মাথায় রেখে। তার সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে কোভিডের ভয়। তাই এমন কোথাও যেতে হবে, যেখানে পর্যটকের সংখ্যা কম। আবার খুব বেশি ঠান্ডাও নেই।
সব দিক বিচার করে, উত্তর-পূর্ব ভারতের কোনও জায়গা এই মুহূর্তে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বেছে নিতেই পারেন। এই সব রাজ্যের কোথায় যেতে পারেন এবারের শীতে? রইল তেমন ১০টি জায়গার তালিকা।
কাজিরাঙ্গা: অসমে চলে যেতে পারেন এই ছুটিতে। হাতে একদিন সময় নিয়ে ঘুরে আসতে পারে কাজিরাঙ্গার জঙ্গল থেকে। সেখানে রয়েছে একশৃঙ্গওয়ালা গণ্ডার। জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় থাকার জায়গার অভাব নেই। ফাঁকায় ফাঁকায় ক’টা দিন কাটাতে পারবেন।
লোকটাক হৃদ: মণিপুরের অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। জনপ্রিয় হলেও এই শীতে খুব বেশি পর্যটক যান না। ক’টা দিন নিরিবিলিতে খুব আনন্দের সঙ্গে শীত উপভোগ করতে পারবেন এখানে গেলে।
মওলিনং: মেঘালয়ের ছোট্ট গ্রাম এটি। ছোট হলেও এর গুরুত্ব কম নয়। এটিকে ভারতের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম বলে দাবি করেন অনেকে। সেই দাবি যে খুব অস্বাভাবিক নয়, তাও টের পাবেন এখানে গেলেই।
রুট ব্রিজ: মেঘালয়ের আরও এক আকর্ষণীয় জায়গা। গাছের শিকড় দিয়ে প্রকৃতিই তৈরি করে রেখেছে সেতু। এটি দেখতে দেশ এবং বিদেশের প্রচুর পর্যটক আসেন। কিন্তু শীতে বিলকুল খালি।
দাউকি: মেঘালয়ের এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে উমগট নদী। নদীতে নৌকা চলে। নদীর জল এত পরিষ্কার, তলার নুড়িপাথর স্পষ্ট দেখা যায় নৌকায় বসেই। এটিকে ভারতের সবচেয়ে পরিষ্কার নদী বলা হয়। এর পাশে দাউকি গ্রামে কাটিয়ে আসতে পারেন কয়েকটা দিন।
মাজুলি: নদীর মাঝে ছোট্ট দ্বীপ। খুব শান্ত পরিবেশ। ক’টা দিন পরিবার কিংবা বন্ধুদের নিয়ে কাটিয়ে আসতে পারেন এখান থেকে। ইচ্ছা হলে চলে যেতে পারেন একাও।
খনোমা: নাগাল্যান্ড গেলে কোহিমা তো অনেকেই যান। কিন্তু সেখান থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে নাগা ইতিহাস সমৃদ্ধ গ্রাম খনোমা। পর্যটকের সংখ্যা নেই বললেই চলে। হোস্টেতে কাটিয়ে আসতে পারেন কয়েকটি দিন।
সেরছিপ: মিজোরামের ছোট্ট গ্রাম। এখানেও পর্যটকের সংখ্যা খুব কম। কিন্তু গ্রামটিতে গেলে পস্তাবেন না। সাধারণ মানুষের আতিথেয়তা এবং তার সঙ্গে পেটপুরে স্থানীয় খাবার— দুটোই শীতের ছুটিটা জবরদস্ত করে দেবে।