বাজার থেকে রুই, কাতলা আসলেই চিন্তা শুরু হয় এই মাছ দিয়ে নতুনত্ব কী রান্না করা যায়! দই মাছ থেকে মাছের কালিয়া, সব ট্রাই করে দেখার পরও, একঘেয়ে মাছের ঝোলে অরুচি শুরু হয় অনেকেরই! এদিকে, বহু বাঙালি বাড়িতে দুপুরের ভাতপাত মানেই মাছ ‘মাস্ট’! সেই জায়গা থেকে রুই, কাতলা নিয়ে যদি নতুনত্ব মাছের ঝোলের খোঁজ করেন, তাহলে আপনার জন্য রইল মাছের কাসনপোড়া ঝোলের রেসিপির হদিশ।
এই রান্নার আসল মজা তার মশলাতে! অনেকেই দাবি করেন, এই কাসন ঝোল মূলত পূর্ববঙ্গের রান্না। এক এক বাড়ির হেঁশেল ভেদে এই মাছের ঝোলের মশলা আলাদা হয়। দেখা যাক, কীভাবে রান্না কার যায় পূর্ববঙ্গের বিখ্যাত এই কাসনপোড়া ঝোল। ১১ পয়েন্টে রইল রেসিপি।
রেসিপি:-
১) রুই বা কাতলা মাছ যেভাবে ঝোল রান্নার আগে হলুদ, নুন দিয়ে ভেজে নেন, সেভাবেই ভাজতে হবে আগে।
২) এরপর গরমের দিনে এই কাসনপোড়া ঝোল যদি হালকাভাবে রান্না করতে চান, তাহলে, কড়াইতে শুকনো খোলায় ভেজে নিন সরষে।
৩) অনেকেই সরষের সঙ্গে লাল লঙ্কাও ভেজে নেন। সরষে, সামান্য ফুটতে শুরু করলেই তা নামিয়ে নিন।
৪) অনেকেই শুকনো খোলায় সরষের সঙ্গে পাঁচফোড়নও ভেজে নেন। তবে পাঁচফোড়ন সামান্য আঁচেই পুড়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে। সেক্ষেত্রে সাবধানে তা ভাজতে হবে।
৫) এই শুকনো খোলায় ভাজা মশলা এবার গুঁড়ো করে নিন। গুঁড়ো যেন মিহি হয়, সেদিকে রাখতে হবে নজর।
৬) এবার কড়াইতে নিন সরষের তেল। তাতে দিন সামান্য় কালো জিরে।
৭) এবার তাতে পড়বে ১টি গোটা কাঁচা লঙ্কা, তা চিড়ে নিয়েও দিতে পারেন।
৮) সামান্য সাতলে নিয়ে, তাতে হলুদ দিয়েই জল দিয়ে নেড়ে নিন। এই হলুদ হিসাবে বাড়িতে বাটা কাঁচা হলুদও দিতে পারেন। সঙ্গে ধনে পাতা কুচি যোগ করুন।
৯) আরও এক কাঁচা লঙ্কা চিড়ে (স্বাদ অনুসারে) দিয়ে নিন।
১০)এরপর যোগ করুন মাছ আর স্বাদ মতো নুন।
১১) এরপর সেই শুকনো খোলায় ভাজা মশলা দিয়ে দিন একেবারে শেষে। সামান্য ফুটিয়ে নামিয়ে নিন। প্রসঙ্গত, এতে কেউ কেউ শুধু শুকনো খোলায় ভাজা সরষের গুঁড়ো দিয়ে থাকেন, কেউবা শুকনো খোলায় ভাজা সরষে-লাল লঙ্কার গুঁড়ো দেন, আবার কেউ শুকনো খোলায় ভাজা সরষে, পাঁচফোড়নের গুঁড়ো দেন। অনেকে পেঁয়াজ ভেজে এই রান্না করলে, তাতে ভাজা সরষে, পাঁচফোড়নের গুঁড়ো দিয়ে থাকেন। অনেকে এই ঝোলে টমেটো বাটাও ব্যবহার করেন। তবে গরমে যদি কম মশলার রান্না করতে চান, তাহলে শুকনো খোলায় ভাজা সরষের গুঁড়ো দিলেও ঝোলের স্বাদ জিভে লেগে থাকবে।