একটি অস্বাস্থ্যকর, টক্সিক পরিবেশে বড় হয়ে ওঠার পরিণাম কী সেটা যাঁরা তার মধ্যে দিয়ে যান তাঁরাই বোঝেন। বাড়িতে যাঁরা নিত্যদিন ঝগড়া, ঝামেলা দেখতে দেখতে বড় হন, মা বাবার অশান্তি, মারপিট, অত্যাচার দেখেন তার মারাত্মক প্রভাব পরবর্তী জীবনে পড়ে, মূলত সম্পর্কে। এই ঘটনাগুলো আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ভীষণ রকম প্রভাবিত করে। একই সঙ্গে আমাদের শারীরিক ক্ষতি করে।
অনেক ক্ষেত্রে যাঁরা এই জিনিসগুলো দেখতে দেখতে বড় হন বা সহ্য করেন তাঁরা পরবর্তীকালে নিজের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও একই জিনিস করে থাকেন। বা ভয়ের কারণে নতুন সম্পর্কে যেতেই চান না। যাঁরা একটা খারাপ পরিবেশে বড় হন তার ট্রমা দীর্ঘদিন থেকে যায় তাঁদের মননে। ভুলতে পারেন না অনেকেই।
নেদরা গ্লোভার তাওয়াব, যিনি একজন বিখ্যাত পরিবার এবং বিবাহ থেরাপিস্ট তিনি তাঁর একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানান যে শিশুরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বড় হয় তাঁদের ট্রমা কতটা গভীর হয় এবং তার প্রভাব কতটা পড়ে তাঁদের জীবনে এটা আমাদের ধারণার বাইরে।
নেদরা গ্লোভার তাওয়াব জানিয়েছেন কোন কোন বিষয়গুলো থেকে শিশু মনে খারাপ প্রভাব পড়ে, বা তারা ট্রমার শিকার হয়।
১. অধিকাংশ সময় ব্যক্তিগত জীবনে, বলা ভালো পার্টনারের সঙ্গে ঝামেলা চললে তার ঝাঁঝ পরিবারের বাকিদের উপরে এসেও পড়ে। মূলত শিশুদের উপর। তখন শিশুদের আদর বা ভালোবাসার দেওয়ার বদলে অনেকেই তাদের গায়েও হাত তোলেন।
২. শিশুদের প্রতিটা পদক্ষেপে তার বাবা মায়ের থাকা প্রয়োজন। ঝগড়া ঝামেলার কারণে যদি তারা শিশুটির বিপদে বা কোনও কাজে পাশে না থাকেন তাহলে সেটার প্রভাবও শিশুটির মনের উপর পড়তে পারে।
৩. কোনও পারিবারিক অনুষ্ঠানে শিশুরা যখন অন্য শিশুদের তাদের বাবা মায়ের সঙ্গে দেখে, মজা করতে দেখে আর নিজের বাবা মাকে দূরে দূরে দেখে, বা বাড়ির ঝগড়া ঝামেলার কথা মনে করে বা সেই অনুষ্ঠানে বাবা মা যে কোনও একজনকে দেখে তখন সেটাও খারাপ প্রভাব ফেলে তার মনে।
৪. বাবা মায়েরা যখন ঝগড়া ঝামেলার মাঝে শিশুর সামনেই খারাপ ভাষায় কথা বলেন, বা গায়ে হাত তোলেন সেটার খারাপ প্রভাবও শিশুদের উপর পড়ে।
৫. ছোটবেলার এই ট্রমা এতটাই খারাপ হয় যে বড় হওয়ার পর কোনও সম্পর্কে জড়ালে ছোটবেলার সেই খারাপ অভিজ্ঞতার প্রভাব তার মধ্যে পড়তে দেখা যায়।