এই পরম্পরা ৬২ বছরের পুরনো। তেলাঙ্গানার ৫ দিনের উৎসব খামদেব যাত্রা। সেই উৎসবে অংশ নিয়েই এক আদিবাসী মহিলা চুমুক দিয়ে পান করলেন আড়াই কেজি তেল! এই আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, এই তেল পান করলে আসবে শান্তি, সমৃদ্ধি।
আড়াই কেজি তিলের তেল পান করা খুব একটা সহজ কথা নয়। তবে তেলাঙ্গানার আদিলাবাদে যে ঘটনা ঘটেছে তা দেখে অনেকেই হতবাক। এই ঘটনা মেসারাম নাগুবাইয়ের। তিনি মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরের কোদ্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা। আদিবাসী ওই সম্প্রদায়ের থোডাসান বংশের সদস্য তিনি। আর পরম্পরাকে মাথায় রেখে তিনি ওই আড়াই কিলো তেল পান করে ফেলেন। উল্লেখ্য, পৌষ মাস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ওই উৎসবে বহু বছর ধরেই এই তেল পানের রীতি প্রচলিত রয়েছে। তিলের তেল পানেরর পর ওই মহিলাকে সংবর্ধনা জানানো হয়। উল্লেখ্য, দেবতা কামদেবকে এই আদিবাসী সম্প্রদায়ের এই বিশেষ বংশ পুজো করে। কামদেবকে কূলদেবতা হিসাবে দেখা হয়। কথিত রয়েছে, এই বংশের যাঁরা পিতার ঘরের তুতো বোন, তাঁরাই ওই তেল পান করবেন। সেই মতোই মেসারাম নাগুবাই ওই তেল পান করেন।
উল্লেখ্য, এই উৎসবে যে তেল ব্যবহার করা হয়, সেই তেল বাড়িতে তিল থেকে তৈরি করা হয়। তিন বছর ধরে এই তেল এভাবে বার্ষিক উৎসবে পান দেখা যাচ্ছে। মনে করা হয়, এভাবে তিলের তেল পান তাতে চাষিদের উৎপাদন বাড়বে। আসবে সৌভ্রাতৃত্ব আসবে আনন্দ। উপজাতি জানাচ্ছে, ১৯৬১ সাল থেকে এই পরম্পরা শুরু হয়েছে। অন্তত ২০ জন খুড়তুতো বোন এই তেল এত বিশাল পরিমাণে পান করে গিয়েছেন এই কয়েক বছরে। আগামী ২ বছর মেসারাম নাগুবাই এই তেল পান করার কথা সম্প্রদায়ের রীতি অনুযায়ী।
উল্লেখ্য, তেলাঙ্গানার যে এলাকায় এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়, সেখানে তেলাঙ্গানা, মহারাষ্ট্র সমেত বহু এলাকা থেকে আসে জনতা। তাঁরা সকলে এই ঘটনা চাক্ষুস করতে চাইছিলেন। উপস্থিত ছিলেন আদিলাবাদের জেলা পরিষদের প্রধান, বিধায়ক সমেত অনেকে। তবে প্রশ্ন উঠছে এইভাবে তেলপান শরীরের পক্ষে কতটা ভালো তা নিয়ে। আদিলাবাদে রাজীব গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়ান্সের এক চিকিৎসক বলছেন, শরীরের ক্ষমতার ওপর পুরো বিষয়টি নির্ভর করে, তবে এতটা তেল একসঙ্গে পান হজম শক্তিতে প্রভাব ফেলে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup