বর্তমান সময়ে নানা ধরনের রোগব্যাধি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ। অনিয়ন্ত্রিত ওজন এই সমস্যাগুলির অন্যতম। ওজন কমাতে অনেকেই নানা কৃত্রিম উপায়ের সাহায্য নিয়ে থাকেন। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না প্রকৃতির একটি সাধারণ উপকরণেই মিলতে পারে সমাধান।
আমরা অনেকেই বাড়ির উঠনে বা ছাদে তুলসী গাছ লাগিয়ে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না এই তুলসী গাছের উপকারিতা কতখানি। এটি অত্যন্ত উপকারি উদ্ভিদ। তুলসী পাতার বিভিন্ন উপকারি দিক রয়েছে। আয়ুর্বেদে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় তুলসী পাতা।চুল এবং ত্বকের চিকিৎসার জন্য,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার মতো কাজে তুলসী পাতা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
তুলসী পাতা ওজন কমাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ড.শিখা শর্মা তাঁর বই‘১০১টি ওজন কমানোর টিপস’-এ বলেছেন, রোজ সকালে ৫-৬টি তুলসী পাতা শরীরকে বিষমুক্ত করতে সাহায্য করে। দেখা যাক তুলসী পাতা কীভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
বিপাক:তুলসী পাতা আপনার বিপাককে বাড়িয়ে তুলতে পারে।আপনার শরীরের বিপাকীয় হার নির্ধারণ করে সারাদিনে কত পরিমাণ ক্যালোরি পোড়ানো হবে। তুলসীর পাতাগুলি বিপাককে জোরদার করতে সাহায্য করে। যদি আপনার দ্রুত বিপাক হয় তবে আপনি দ্রুত ক্যালোরি বার্ন করতে পারবেন।
বিষাক্ত পদার্থ দূরীকরণ: তুলসী পাতা বা তুলসী চা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসাবে কাজ করে। এটি রক্তকে পরিশোধন করে এবং সব বিষাক্ত জিনিস আপনার শরীর থেকে বের করে দেয়। এরফলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। গত দিনের বিষক্রিয়া থেকে আপনার শরীরকে পরিষ্কার করে আপনার নতুন দিনকে দুর্দান্তভাবে শুরু করে তুলসী পাতা।
হজম: আয়ুর্বেদ অনুযায়ী,আপনার পাচন তন্ত্রের জন্য আশ্চর্য কাজ করতে পারে আদা ও তুলসী।একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক পাচনতন্ত্রই ওজন কমানোর মূল লক্ষ্য। হজমের সমস্যা থাকলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। কারণ আমরা সঠিকভাবে আমাদের পুষ্টি শোষণ করতে পারি না।বর্জ্য নিষ্কাশন প্রক্রিয়াতেও প্রভাব পড়তে পারে। এটি বিপাকীয় হারকে হ্রাস করতে পারে,যা ক্যালরিগুলোকে সঠিকভাবে পোড়াতে দেয় না। ডা. শিখা তার বইয়ে লিখেছেন যে,সকালে খালি পেটে তুলসীর রস (১৫-২০ টি তুলসী পাতা) কোষ্ঠকাঠিন্যর উপশম করতে পারে।