ডায়াবিটিস মানেই প্রতিদিনের খাওয়াদাওয়ায় হাজার একটা বিধিনিষেধ। যেসব খাবার রোজ খাওয়া যেত, তার অনেকগুলোই খেতে বারণ করেছেন চিকিৎসক। প্রিয় খাবারগুলোও এক এক করে বাদ পড়েছে নতুন ডায়েট থেকে। রক্তে শর্করা বেড়ে যায় এই ভয়ে যে কোনও খাবার খাওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়। আবার, রোজ একধরনের খাবার খাওয়ায় রুচি চলে যাওয়াও স্বাভাবিক।
তবে, এই সমস্যার সমাধান সহজেই হয়। শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে এমন অনেক খাবার দিয়েই বানানো যায় সুস্বাদু কিছু পদ। এই পদগুলো যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তেমন মুখরোচকও বটে। মাঝে মাঝে রোজকার ডায়েটে পরিবর্তন আনতে এই পদগুলো রাঁধা যেতেই পারে। তেমনই দুটি পদের হদিশ রইল এই প্রতিবেদনে।
১. স্পাইসি কোকোনাট শ্রিম্প:
উপকরণ: এক কাপ ধোয়া কিনোয়া, দুই কাপ জল ও এক চিমটে লবণ, এক চা চামচ অলিভ তেল, মাঝারি আকারের পেয়াজ কুঁচো করে কাটা, এক টেবিল চামচ আদা কুঁচো, হাফ চা চামচ কারিপাতা গুঁড়ো, হাফ চা চামচ হলুদ, অল্প লবণ, অল্প গোলমরিচ গুঁড়া, এক টেবিল চামচ কমলালেবুর রস, এক কাপের চারভাগের এক গ্ৰেড করে ভেজে রাখা নারকেল আর অল্প ধনেপাতা কুচি।
পদ্ধতি: একটি সসপ্যানে কিনোয়া, জল আর লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। এরপর অল্প আঁচে ঢকা দিয়ে ১২ থেকে ১৫ মিনিট জল শুষে নিতে দিন। জল কমে এলে আঁচ নিভিয়ে দিতে হবে । এরপর একটি ননস্টিক পাত্রে মাঝারি আঁচে তেল গরম করে নিন। তাতে পেঁয়াজ কুচো দিয়ে হালকা ভেজে নিতে হবে। এর মধ্যে আদা, কারিপাতা গুঁড়ো, হলুদ, লহণ ও গোলমরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়তে হবে। এরপর চিংড়ি ও মটরশুঁটি দিয়ে তিন থেকে চার মিনিট কষাতে হবে। চিংড়িগুলো হালকা গোলাপি হয়ে এলে এর মধ্যে নারকেলের দুধ আর লেবুর রস দিয়ে কিছুক্ষণ বেশি আঁচে নাড়তে হবে। পরিবেশনের সময় কিনোয়ার উপর ধনেপাতা ও ভেজে রাখা নারকেল দিতে ভুলবেন না।
২. গোয়ান প্রন কারি:
উপকরণ: এক কেজি খোসা ছাড়ানো চিংড়ি, একটা নারকেল কুড়িয়ে রাখা, চারটে শুকনো লঙ্কা, এক চা চামচ জিরে, হাফ চা চামচ হলুদ, তিন-চারটে কাঁচালঙ্কা, হাফ কাপ তেঁতুল জল, পেঁয়াজ কুচো আর লবণ।
পদ্ধতি: প্যানে জল দিয়ে মশলাগুলোকে প্রথমে ২০ মিনিট কষিয়ে নিতে হবে । এরপর পরিমাণমতো লবণ ও চিংড়িগুলো মিশ্রণে ছেড়ে দিতে হবে । চিংড়ি সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত হালকা আঁচে কষাতে হবে। সিদ্ধ হয়ে এলেই নামিয়ে অল্প ধনেপাতা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন প্রন কারি।