বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Umar Khalid’s Love Story: হেফাজতে প্রেম, জেলের পাঁচিলের এপার ওপারে উমর-বনজ্যোৎস্না তবু লিখছেন খোয়াবনামা

Umar Khalid’s Love Story: হেফাজতে প্রেম, জেলের পাঁচিলের এপার ওপারে উমর-বনজ্যোৎস্না তবু লিখছেন খোয়াবনামা

বনজ্যোৎস্না এবং উমর (instagram.com/indialoveproject)

Umar Khalid’s Love Story: সম্প্রতি এক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের দৌলতে ছড়িয়ে পড়েছে উমর খালিদের প্রেমের কাহিনি। তাঁর সঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শের মিল থাকুক বা না-থাকুক, অনেকেই বলছেন, এমন প্রেম বিরল। কেন?

এটাও একটা প্রেমের গল্প। আসলে গল্প নয়, সত্যি ঘটনা। সত্যিকারের প্রেম। আর পাঁচটা প্রেমের গল্প যেভাবে মনে অকাল বসন্তের আনাগোনার ইঙ্গিত দিয়ে যায়, এই প্রেম হয়তো সেই চেনা গতানুগতিকভাবে দেয় না। এই প্রেমের গল্প পড়তে হয় দুরুদুরু বুকে, ‘অপরাধ করে ফেলছি না তো’ গোছের ভয় নিয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত প্রেম তো প্রেমই। তাই শেষ পর্বে তার আনন্দকে ঠেকায় সাধ্য কার! এই প্রেমকাহিনির দুই প্রধান চরিত্র হলেন উমর খালিদ এবং বনজ্যোৎস্না লাহিড়ি।

ভারতীয় ছাত্র রাজনীতিতে উমর অত্যন্ত পরিচিত এক নাম। বর্তমানে তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে। আর তাঁর প্রেমিকা বনজ্যোৎস্না চালিয়ে যাচ্ছেন লড়াই। না, প্রেম টিকিয়ে রাখার লড়াই নয়। প্রেম তো আছেই। তাই আছে আনন্দও। এই লড়াই আবার একসঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকার। এক থালায় খাওয়ার।

সম্প্রতি বনজ্যোৎস্না তাঁর এবং উমরের প্রেম নিয়ে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেই কথাগুলি সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতীয় ছাত্ররাজনীতির দুই পরিচিত মুখ, দুই অতি আলোচিত নামের মানুষ কীভাবে পরস্পরকে চিনলেন, কীভাবে একে অন্যের প্রতি আকৃষ্ট হলেন, রাজনীতির পথের আঁকেবাঁকে কীভাবে তাঁদের প্রেম জন্ম নিল, সেই কাহিনিই তিনি লিখেছেন। এবং তাঁর সঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শের জায়গায় এক হয়ে এবং এক না হয়েও অনেকেই বলেছেন, ‘এ প্রেম, বড় প্রেম’।

কী বলেছেন বনজ্যোৎস্না? কহিনিটির সারসংক্ষেপ করলে অনেকটা এমন দাঁড়াবে। ২০০৮ সালে তাঁদের পরিচয়। বনজ্যোৎস্না তখন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল করছেন আর উমর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ। আলাপ তখন হলেও তা প্রেমের সম্পর্কের দিকে গড়াতে লেগে গিয়েছিল পাঁচটি বছর। ২০১৩ সালে তার সূচনা। ২০১৬ সালে এক টেলিভিশন চ্যানেলের দৌলতে তাঁরা দেশব্যাপী পরিচিত হয়ে যান। বিশেষ করে উমর। সময় এগোতে থাকে। বাড়তে থাকে সম্পর্কের গভীরতাও। ২০১৮ সালে উমরের উপর হামলা হয়। সেই সময়ে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন বনজ্যোৎস্না। পুলিশের থেকে পরে তিনি জানেন, আক্রমণকারীর বন্দুক আটকে গিয়েছিল। নাহলে হয়তো সেদিন অন্য রকম কিছু হতে পারত।

এর পরে উমরের বন্দিদশার খবর তো সকলেরই জানা। কিন্তু যা জানা নয়, তা হল তাঁর এবং বনজ্যোৎস্নার পারস্পরিক সম্পর্ক। দ্বিতীয় জনের কথায়, ‘এক শহরে থেকেও গত তিন বছর ধরে আমরা একটা লং ডিসট্যান্ট প্রেমের সম্পর্কে আছি। সপ্তাহে একদিন দেখা হয়। দিল্লির তিহার জেলে সেই দেখার সময়ে দু’জনের মাঝখানে থাকে কাচের দেওয়াল। আমরা ইন্টারকমে কথা বলি। হাসি, ঠাট্টা করি। কোনও দুঃখের কথা বলি না। একমাত্র দুঃখ হয়, যখন ওখান থেকে বেরিয়ে আসি।’

বনজ্যোৎস্নার কথায়, মামলার দিনগুলোতেও দেখা হয় তাঁদের। ইশারায় কথা হয়। চুলের কাটিং নিয়ে তাঁরা ইশারায় কথা বলেন। উমর ফুটবল বোঝেন না। আইপিএল দেখতে পছন্দ করেন। বনজ্যোৎস্না করেন না। তাই খেলার প্রসঙ্গ উহ্যই থাকে ইশারা থেকে।

একেবারে শেষে এসে তিনি বলেছেন, ‘হতে পারে আমাদের পছন্দের খেলা আলাদা। কিন্তু পছন্দের বইগুলো এক। ও জেলে যে বইগুলো পড়ছে, সেগুলো বাড়িতে রাখার জন্য আলাদা তাক কিনেছি। আমার বাবা-মা ওর জন্য যতটা গর্বিত, আমার জন্য তার সিকিভাগও নয়। ওর বাবা-মা’ও আমায় ভালোবাসেন।’ তাঁর কথায়, উমরের স্বাধীনতা না থাকতে পারে, কিন্তু আনন্দে ঘাটতি নেই। তাই এখনও তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ‘আমাদের যখন জোর করে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে, তখনই আমরা সবচেয়ে কাছাকাছি চলে এসেছি।’ বলেছেন তিনি।

‘ইন্ডিয়া লাভ প্রোজেক্ট’ নামের একটি সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা থেকে শেয়ার করা হয়েছে, তাঁদের এই প্রেমকাহিনি। যে প্রেমকাহিনিও মানুষের মনে অকাল বসন্তের ইঙ্গিত দিতে পারে। আর পাঁচটা প্রেমের গল্পে বসন্তের পাতাঝরা গাছের ডালে যেখানে থাকে কিশলয়ের পূর্বাভাস, এখানে সে সব ডালে বাঁধা লাল নিশান। পার্থক্য এটুকুই।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

 

বন্ধ করুন