কলেজের দিনগুলি সকলের কাছেই ভীষণ স্পেশাল হয়। পড়াশোনার পাশাপাশি বন্ধুদের সঙ্গে মজা, হাসি ঠাট্টায় সারা জীবনের স্মৃতি হয়ে থেকে যায়। তেমনি একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হল যা দেখে আরও একবার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল সকলের।
ভিডিয়োটি IIT কানপুরের ক্লাসরুমের।শেয়ার করা হয়েছে iit_memecell and iitkmemehub নামক ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে। ভিডিয়োটি তোলা হয়েছে আইআইটি কানপুরের একটি ক্লাসরুমে। শিরোনামে লেখা রয়েছে, গাই ট্রায়িং টু লেট ইন লেট ইন ক্লাস অ্যাট আই আই টি কানপুর।
(আরও পড়ুন: ৪৮ লাখ টাকার রোবট কুকুর কিনে বিরাট বিপদ! ভিডিয়ো দেখে চমকে যাবেন)
কী দেখা যাচ্ছে ভাইরাল সেই ভিডিয়োয়?
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, একজন ছাত্র ক্লাসরুমের পাশের একটি দরজা দিয়ে চুপিচুপি ক্লাসে ঢোকার চেষ্টা করছেন। ওই ছাত্রকে দেখে বোঝাই যাচ্ছে ওই ছাত্র অনেকটাই লেট করে ফেলেছেন ক্লাসের জন্য। ওই ছাত্রটিকে দেখে বাকি সহপাঠীরা মুখ টিপে হাসছেন কিন্তু কিছু বলতে পারছেন না।
সহপাঠীদের মধ্যে একজন গোটা বিষয়টি মোবাইলে রেকর্ড করছিলেন। সকলের হাসাহাসি দেখে উপস্থিত শিক্ষক সকলকে যখন জিজ্ঞাসা করেন, ‘এখানে কি কিছু ঘটছে যা আমি লক্ষ্য করছি না?’ শিক্ষকের মুখে এই কথা শুনে আরও বেশি হাসতে শুরু করেন সকলে। সকলের হাসাহাসিতে শেষ পর্যন্ত ওই ছাত্র ক্লাসে প্রবেশ না করে দরজা দিয়েই বাইরে পালিয়ে যায়।
আইআইটি তাদের কঠোর শিক্ষাব্যবস্থা এবং প্রতিযোগিতামূলক প্রবেশিকা পরীক্ষা এবং উল্লেখযোগ্য ক্যাম্পাসিংয়ের জন্য ভীষণভাবে পরিচিত। তবে আইআইটি ক্লাসরুমের এই ভিডিয়োটি নিঃসন্দেহে এক টুকরো দমকা বাতাস বয়ে নিয়ে এলো সকলের জীবনে। ছাত্র জীবন মানে যে শুধুমাত্রই পড়াশোনা নয়, এইভাবে গড়ে ওঠা টুকরো টুকরো আনন্দও, তা আরো একবার প্রমাণ হয়ে গেল এই ভিডিয়ো দেখে।
(আরও পড়ুন: যক্ষা রোগের চিকিৎসায় নতুন দিশা, আরও কার্যকর ওষুধ নিয়ে এল কেন্দ্র)
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই ১১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখে ফেলেছেন। সাঁই আদিত্য নামে নেট ব্যবহারকারী যিনি ক্লাস চলাকালীন সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করেছেন, তিনি মন্তব্য করে লিখেছেন, ‘আমাদের চারটে পাঁচ নাগাদ ক্লাসরুমে আসার কথা ছিল। সবাই উপস্থিত ছিল শুধু আমাদের ওই বন্ধুর আসতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। ওই বন্ধুর কার্যকলাপ আমাদের সকলের চোখে পড়েছিল এবং আমরা হাসি থামাতে পারছিলাম না কিছুতেই।’
ভিডিয়ো দেখে এক নেটিজেন কমেন্ট করে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধু যখনই অনুপস্থিত থাকতো তখন আমি তার হয়ে প্রক্সি দিয়ে দিতাম। এই ভিডিয়োটি পুরনো দিনের কথা মনে করিয়ে দিল আমাকে।’ অন্য একজন আবার লিখেছেন, ‘স্কুল জীবনের এই ছোট ছোট স্মৃতিগুলোই সারা জীবনের সম্পদ হয়ে থাকে।’