একটা সময় ছিল যখন ঘি শুধুমাত্র ভাতের সঙ্গেই খাওয়া হতো। ঘি - কে বলা হত উচ্চ ক্যালরিযুক্ত মাখন। ঘি খেলে ওজন বেড়ে যায় এই ধারণায় অনেকেই ঘি এড়িয়ে চলেন এখনও। কিন্তু ভাতের সঙ্গে না খেয়ে ঘি যদি চায়ের সঙ্গে খান, তাহলে ঠিক কী কী উপকার পেতে পারেন আপনি জানেন?
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যেটি পোস্ট করেছেন ডক্টর শিল্পা অরোরা। শিল্পা ভিডিয়োয় দেখিয়েছেন, কীভাবে ঘি দিয়ে চা তৈরি করা হয়? ঘি চা খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায় সেটাও বলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এটি যে একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবেও কাজ করে, সেটাও জানাতে ভোলেননি তিনি।
(আরও পড়ুন: ফল কিংবা সবজি, গোটা খাওয়া ভালো নাকি রস করে? উত্তর দিলেন পুষ্টিবিদ)
ভিডিয়োয় শিল্পা বলেন, ঘি দিয়ে চা খেলে দূর হয়ে যায় বদহজম বা পেট খারাপের সমস্যা। প্রতিদিন সকালে ব্ল্যাক চায়ের সঙ্গে যদি অল্প ঘি মিশিয়ে খালি পেটে খাওয়া যায়, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি যে বহু পুরনো আয়ুর্বেদিক টোটকা, সেটাও ভিডিয়োয় জানান তিনি। তিনি এও বলেন, আমেরিকান ডায়েটেটিক অ্যাসোসিয়েশন চড়া দামে বিক্রি করেন এই ঘি চা। তাই অর্থ খরচ না করে বাড়িতেই যদি এটি বানিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে একই উপকার পাওয়া যাবে।
এই প্রসঙ্গে পুষ্টিবিদ তথা আয়ুর্বেদিক ডাক্তার অঞ্জনা কালিয়া বলেন, ‘ঘি-তে থাকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন A,D ও E - এর মতো চর্বি দ্রবনীয় ভিটামিন। চায়ের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে হজম ক্ষমতা বেড়ে যাওয়ার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হয়। শুধু তাই নয়, এটি একটি লুব্রিকেন্ট হিসেবেও কাজ করে এবং জয়েন্টের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।’
(আরও পড়ুন: একটি ডিমেই হয়ে যাবে কামাল, চুল ঘন আর সিল্কি করার জন্য মাখুন এই হেয়ার মাস্ক)
ঘি চা না ঘি কফি কোনটি স্বাস্থ্যকর? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ঘি চা এবং ঘি কফি দুটোই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তাই দুটোই স্বাস্থ্যকর। কিন্তু কফিতে ক্যাফাইন বেশি থাকে বলে যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, তাদের ঘি কফি এড়িয়ে চলাই উচিত। এই ক্ষেত্রে ঘি চা সব থেকে দুর্দান্ত বিকল্প।’