বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Viral news: তরতাজা যুবকের পেটে জরায়ু থেকে ডিম্বাশয়! মিলল বিরল রোগের নমুনা

Viral news: তরতাজা যুবকের পেটে জরায়ু থেকে ডিম্বাশয়! মিলল বিরল রোগের নমুনা

: তরতাজা যুবকের পেটের পরীক্ষা করতেই মিলল এই সব। (AFP)

Viral news: তরতাজা যুবকের পেটের পরীক্ষা করতেই মিলল এই সব। দেখা গেল জরায়ু থেকে ডিম্বাশয় সবই আছে পেটে। বিরল রোগের নমুনা দেখে সকলেই হাঁ।

বাইরে থেকে সুস্থ সবল পুরুষ।‌ কিন্তু দেহের ভিতরে রয়েছে জরায়ু, ফ্যালোপিয়ান টিউব ও ডিম্বাশয়! শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি। প্রজননের জন্য মহিলাদের শরীরের ভিতর যে যে অঙ্গ থাকে, সেগুলিই রয়েছে এক পুরুষের পেটে। বয়স এখন তিরিশের কোঠায় তাঁর। পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও সন্তানের মুখ দেখেননি ওই ব্যক্তি।‌ কী ব্যাপার তা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না তিনি ও তাঁর স্ত্রী। বহু চিকিৎসক দেখানোর পর জানা যায় এমন আজব জিনিস!

আরও পড়ুন: বিয়ের দিনে বাথরুমে মায়ের সঙ্গে এ কী করছেন বর! দেখে চমকে উঠলেন কনে

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তির বিরল রোগের কথা প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, বাইরে থেকে সারা দেহ পুরুষের হলেও তার পেটে রয়েছে স্ত্রী অঙ্গ। পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয়েছে তাঁর। ইতিমধ্যেই বেশ‌ কয়েকবার সন্তানের জন্ম দিতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। কেন সন্তান হচ্ছে না, তা জানতে একের পর এক চিকিৎসক দেখান। যৌন সমস্যা থেকে মনের সমস্যা বাকি রাখেননি কিছুই। এমনকী অনেক চিকিৎসক ওষুধও দেন যৌনশক্তি বাড়ানোর। কিন্তু এত কিছু করেও সুরাহা হয়নি। শেষে ফরিদাবাদের অমৃতা হাসপাতালে আসেন ওই ব্যক্তি। কোনও চিকিৎসকই বুঝতে পারছেন না কী হয়েছে! যদি এখানের চিকিৎসকরা পারেন। এই হাসপাতালে তাকে পরীক্ষা করে দেখা যায়, শুক্রাশয় এখনও পেটের ভিতরে রয়ে গিয়েছে তার! কেন? কারণ জানতে বিস্তারিত পরীক্ষা করা হয়। এরপরেই চোখে পড়ে অবাক করা জিনিস। জরায়ু থেকে ডিম্বাশয় সবই আছে ওই ব্যক্তির। শেষ‌ পর্যন্ত অস্ত্রপচার করে বাদ দিতে হয় ওই অঙ্গ। আপাতত সুস্থ ওই ব্যক্তি।

আরও পড়ুন: ৩০ বছর ধরে মহিলাদের স্নানের আর নগ্ন ভিডিয়ো তুলেছেন ব্যক্তি! কী করতেন সেগুলি নিয়ে

কোন রোগে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি?

একটি বিরল জিন রোগে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি। এমনটাই জানান চিকিৎসকরা। পারসিস্টেন্ট মুলেরিয়ান ডাক্ট সিনড্রোম (পিএমডিএস) নামক রোগে আক্রান্ত ছিলেন উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। এই রোগে পুরুষ ও মহিলা দুজনেরই অঙ্গ একটি পুরুষের শরীরে থাকে। বয়স বাড়লে সেই অঙ্গের চেহারা বাড়তে থাকে। এই কারণেই সন্তান উৎপাদনে বাধা তৈরি হচ্ছিল বারবার। অমৃতা হাসপাতালের এক চিকিৎসক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সারা পৃথিবীর ইতিহাসে এটি বিরল জিন রোগ। সব মিলিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০এর বেশি‌ নয়।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup 

বন্ধ করুন