বেসরকারি কর্পোরেট সংস্থায় চুটিয়ে কাজ করতেন দুই বন্ধু। গত ১৪ বছরে অভিজ্ঞতাও হয়েছিল নানারকমের। একটা সময় একের পর এক সংস্থার চাকরি ছেড়েছেন। আবার এক চাকরি ছেড়ে অন্য চাকরিও ধরেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে সংস্থায় চাকরি ছিল তারাও এক মাস আগে ছাঁটাই করল। সেই ছাঁটাইতে চাকরি যায় দুই বন্ধুর। নাহ্, এর পর আর কোন সংস্থার চাকরির চক্করে জড়াননি তাঁরা। সরাসরি চাকরির চক্কর ছেড়ে চলে আসেন ব্যবসায়। দুই বন্ধু মিলে শুরু করেন নয়া রোজগারের কারবার। নানা স্বাদের শরবতের দোকান দেন ফুটপাথের ধারে। দোকানের নামটিও বেশ অভিনব। জবলেস জুসওয়ালা নামেই এলাকার লোকের কাছে পরিচিত দুই বন্ধুর শরবতের কারবার।
আরও পড়ুন: কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে এক রাতেই, শুধু খাবারে মিশিয়ে খান এটি
আরও পড়ুন: সারাদিন বসে বসে কাজ! ৩ শ্বাসের ব্যায়ামেই দূর হবে সব ব্যথা
পূর্ব বর্ধমানের বড়নীলপুরের বাসিন্দা অভিজিৎ গুহ আর অপু সরকারের নতুন ব্যবসা শুধু অভিনব নয়, রীতিমতো ক্রেতাদেরও টানছে। এলাকার বাসিন্দারা ছাড়াও বাইরে থেকেও ভিড় জমাচ্ছেন শরবতপ্রেমী। তবে দোকানের নাম এমন কেন? দুই মালিক জানাচ্ছেন, চাকরি হারিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন বলেই এমন অভিনব নাম। দোকানের নামই কোনও কোনও সময় বাজিমাত করছে। শুধু নাম দেখেই কৌতুহল থেকে দোকানে শরবত খেতে আসছেন অনেকে। তবে শরবত খাওয়ার পর বাহবাও দিচ্ছেন। কারণ মানের দিক থেকেও অসাধারণ খেতে দুই বন্ধুর নানা স্বাদের পানীয়।
আরও পড়ুন: ব্যায়াম করার পরেই এই কাজগুলি করছেন নাকি? পুরো খাটুনিই জলে যাচ্ছে
আরও পড়ুন: খাবারে আর ধরবেই না পিঁপড়ে, কাজে লাগান সহজ টোটকা
জবলেস জুসওয়ালার মেনুতে কোন কোন শরবত রয়েছে ক্রেতাদের জন্য? অভিজিৎ গুহ আর অপু সরকার সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছেন, মোজিতো, মশলা সোডা, মশলা কোল্ডড্রিঙ্কস, ম্যাঙ্গো জুস ইত্যাদি। সপ্তাহের সাত দিন পাওয়া যায় এই অভিনব স্বাদের পানীয়। সকাল ৯ টায় দিন শুরু হয় দুই বন্ধুর। তারপর সারাদিনের বিকিকিনি শেষ করে রাত ৯ টায় বাড়ি ফেরা। বর্ধমান পুলিশ লাইনের কাছে ঘোড়দৌড়চট্টির কাছে গত একমাসেই বাজার ধরে ফেলেছে জবলেস জুসওয়ালা। আগামীদিনে আরও বড় হবে ‘জবলেস জুসওয়ালা’। এই আশা নিয়েই রোজ ক্রেতাদের শরবত খাওয়াচ্ছেন দুজনে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup